কলোরেডো ১৮৭৬ সালে ৩৮ তম রাষ্ট্র হিসাবে ইউনিয়নে যোগ দেয়। এটি স্থলভাগের আয়তনের দিক দিয়ে আমেরিকার অষ্টম বৃহত্তম রাষ্ট্র। কলোরেডোর উত্তরে উয়োমিং, উত্তর-পূর্বে নেব্রাস্কা, পূর্বে ক্যানসাস, দক্ষিণ-পূর্বে ওকলাহোমা, দক্ষিণে নিউ মেক্সিকো, পশ্চিমে উটাহ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অ্যারিজোনার সীমানা।
বর্তমানের কলোরেডো রাষ্ট্রে আদিবাসী আমেরিকানরা ১৩,০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাস করছিল। কলোরেডোর ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় স্প্যানিশ অভিযাত্রীদের আগমন দিয়ে শুরু হয়, যারা এই অঞ্চলের প্রথম ইউরোপীয়ান ছিল। কলোরেডো রাষ্ট্রের ইতিহাসে এই যুগ ১৫৪০ সালে মেক্সিকো থেকে করোনাদোর নেতৃত্বে একটি অভিযান দিয়ে শুরু হয়। তারা সিবোলার সাতটি শহর খুঁজে পাওয়ার আশা করেছিল যেখানে রাস্তাগুলি সোনা দ্বারা মোড়া ছিল বলে মনে করা হত। কলোরাডোর ইতিহাসের পরবর্তী উল্লেখযোগ্য সময় ১৮০০ সালে শুরু হয়েছিল যখন স্পেন কলোরেডো সহ একটি বিশাল অঞ্চল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এবং ফরাসিদের হাতে তুলে দিয়েছিল। এর তিন বছর পরে, একই ভূ-অঞ্চল নেপোলিয়ন আমেরিকার কাছে “লুইসিয়ানা ক্রয়” চুক্তির অধীনে বিক্রি করেন।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ১৮০৩ সালে লুইসিয়ানা ক্রয়ের সাথে পূর্ব রকি পর্বতমালার উপর একটি আঞ্চলিক দাবি অর্জন করে। মার্কিন এই দাবি স্পেনের উপনিবেশ সান্টা ফে দে নিউভো মেক্সিকোর একচেটিয়া বাণিজ্য অঞ্চল হিসাবে আরকানসাস নদী অববাহিকার স্পেনের দাবির সাথে দ্বন্দের সৃষ্টি করে। ১৮০৬ সালে জেলবুলন পাইক বিতর্কিত অঞ্চল পুনরুদ্ধারে মার্কিন সেনাবাহিনীর এক জরিপ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। পরবর্তি ফেব্রুয়ারী মাসে কর্নেল পাইক এবং তার লোকদের সান লুইস উপত্যকায় স্পেনীয় অশ্বারোহীরা গ্রেপ্তার করে চিহুয়াহায় নিয়ে যায় এবং জুলাই মাসে তাদের মেক্সিকো থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৮৩৫-৩৬ সালের টেক্সিয়ান বিদ্রোহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয়ের মধ্যে বিরোধের জন্ম দেয় যা শেষ পর্যন্ত ১৮৪৬ সালের মেক্সিকো-আমেরিকান যুদ্ধে রূপ নেয়। ১৮৪৮ সালে যুদ্ধের শেষে গুয়াদালুপে হিডালগো চুক্তির মাধ্যমে মেক্সিকো তার উত্তর অঞ্চল আমেরিকাের কাছে সমর্পণ করে।
১৮৪৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় সোনার আবিষ্কার রকি পর্বতমালা সহ অন্যান্য অঞ্চলে সোনার সন্ধানে উৎসাহ সৃষ্টি করে এবং কলোরাডোর প্রথম বড় জনবসতি স্থাপনে প্রভাব বিস্তার করে। ১৮৫৮ সালের জুলাই মাসে জর্জিয়ার একজন খনিজীবি, উইলিয়াম গ্রিন রাসেল, বর্তমান ইংগলউডের ডেনভার শহরতলিতে কয়েকশো ডলার মূল্যের সোনার সন্ধান পান। রাসেলের আবিষ্কারের পর ১৮৫৮-৫৯ সালের স্বর্ণের অনুসন্ধান শুরু হয়। ইতিহাসবিদরা অনুমান করেছেন যে ১৮৫৮-৫৯ সালে প্রায় ৫০,০০০ লোক সোনার সন্ধানে কলোরেডোতে এসেছিল।
রাসেল এবং তার ভাইরা চেরি ক্রিকের উপর আর একবার সোনার আবিষ্কার করার পর জেনারেল উইলিয়াম লারিমার নেতৃত্বে কানসাস এলাকার একদল লোক সেখানে একটি বসতি স্থাপন করে।
অন্যান্য অঞ্চলে সোনার খনি পাওয়া গেলে সেখানে আরও শহর প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে, চেরি ক্রিকের চল্লিশ মাইল পশ্চিমে সোনার সন্ধান পাওয়ার ফলে সেন্ট্রাল সিটি এবং ব্ল্যাকহক নামে দুটি শহর প্রতিষ্ঠা হয়। রাজ্যের প্রথম স্থায়ী শ্বেতাংগের বসতিগুলি ছিল সান লুইস উপত্যকায়। ১৮৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত সান লুইস শহরটি সাধারণভাবে কলোরেডোর প্রাচীনতম অধিকৃত শহর হিসাবে বিবেচিত হয়।
১৮৬১ সালের জানুয়ারিতে কংগ্রেস কানসাসের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার পক্ষে ভোট দেয়। এর পরপরই কলোরেডো শাসন এলাকা তৈরির একটি বিল পাস হয়। রাষ্ট্রপতি লিংকন উইলিয়াম গিল্পিনকে রাষ্ট্রের প্রথম আঞ্চলিক গভর্নর হিসাবে নিয়োগ দেন। ১৮৬১ সালে কলোরাডোর জনসংখ্যা ছিল ২১,০০০।
শাসন এলাকাটি প্রতিষ্ঠার পরের বছরগুলিতে কলোরেডোর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা অর্জনের জন্য বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা চালানো হয়। তবে শাসন এলাকা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পনের বছর পর ১৮৭৬ সালে কলোরেডো ইউনিয়নের আটত্রিশতম রাষ্ট্র হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের একশতম বছরের সম্মানে কলোরাডোকে “শতবর্ষ রাজ্য” বলা হত।
১৯২০ এর দশকের গোড়ার দিকে, কু ক্লাক্স ক্লান, সংক্ষেপে কেকে, আমেরিকান শ্বেতাংগ আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসী ঘৃণা গোষ্ঠী কলোরেডোয় একটি গুরুত্বপূর্ন রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠে। এই গোষ্ঠির প্রধান লক্ষ্য ছিল আফ্রিকান আমেরিকানদের পাশাপাশি ইহুদি, অভিবাসী, বামপন্থী, ক্যাথলিক, মুসলমান এবং নাস্তিকরা। তবে তার তাদের কোনও প্রস্তাব আইনে কার্যকর করতে সক্ষম হয় নি এবং ১৯৩০ সালের মধ্যে এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।
১৯৩০ এর দশকে কলোরেডো গ্রেট ডিপ্রেশন এবং ডাস্ট বোল (Dust Bowl) দ্বারা প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অভিবাসনের একটি বড় ঢেউ কলোরাডোর ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করে তোলে। পর্যটন শিল্প রাষ্ট্রের অর্থনীতির মূল ভিত্তিতে পরিণত হয় এবং উচ্চ প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক যন্ত্রে পরিণত হয়।
১৯৪০ এর দশকে কলোরাডোর রিপাবলিকান গভর্নর রাল্ফ কার জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী-আমেরিকানদের অন্তরীন রাখার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।
কলোরেডো একমাত্র রাষ্ট্র যারা ১৯৭২ সালে অলিম্পিক গেমসের আয়োজক হওয়ার সম্মান প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিনিধি লাম অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পর্কিত ব্যয়ের জন্য একটি বন্ড ইস্যু প্রত্যাখ্যান করার জন্য সফল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ১৯৭৬ সালের শীতকালীন অলিম্পিক অস্ট্রিয়ার ইনসবার্কে স্থানান্তরিত করে। এর আগে বা এর পর এপর্যন্ত কোনও ভেন্যু কখনো প্রত্যাখ্যিত হয় নি।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ২০১০ সালের আদম শুমারি অনুসারে কলোরেডোর জনসংখ্যা ছিল ৫,০২৯,১৯৬। রাজ্যের জনসংখ্যার বর্ণগত বিভাজন নিম্নরুপ ছিল:
৮১.৩% হোয়াইট আমেরিকান (৭০.০% অ-হিস্পানিক শ্বেতাংগ, ১১.৩% হিস্পানিক শ্বেতাংগ)
৪.০% কালো বা আফ্রিকান আমেরিকান
৩.৪% বহুজাতিক আমেরিকান
২.৮% এশিয়ান আমেরিকান
১.১% আমেরিকান ইন্ডিয়ান এবং আলাস্কার আদিবাসী
০.১% হাওয়াইয়ান আদিবাসী এবং অন্যান্য প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জবাসী
৭.২% অন্য কিছু জাতি
কলোরাডোর জনগণের প্রধান ধর্মীয় বিশ্বাস – ৬৪% খ্রিস্টান, যার মধ্যে ৪৪% প্রোটেস্ট্যান্ট, ১৬% রোমান ক্যাথলিক, ৩% মরমন এবং ১% পূর্ব অর্থোডক্স। অন্যান্য ধর্মীয় বিভাজন হ’ল ১% ইহুদি, ১% মুসলিম, ১% বৌদ্ধ এবং ৪% অন্যান্য। জনসংখ্যার ২৯% কোন ধর্মে বিশ্বাসী না।
২০১৬ সালে মাঝারি বার্ষিক গৃহস্থালী আয় ছিল ৭০,৬৬৬ ডলার – দেশের মধ্যে এটি অষ্টম। ২০১০ সালে মাথাপিছু ব্যক্তিগত আয়ের পরিমাণ ছিল ৫১,৯৪০ – দেশের মধ্যে এটি র্যাঙ্কিংয়ে ১১ তম। রাজ্যের অর্থনীতির বিকাশ উনিশ শতকের মধ্যভাগে খনি থেকে শুরু হয় এবং একই সময় সেচনির্ভর কৃষির বিকাশ ঘটে। উনিশ শতকের শেষদিকে পশুপালন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। প্রাথমিক শিল্প কারখানা খনিজ এবং কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের উপর নির্ভরশীল ছিল। বর্তমান কৃষি পণ্যগুলি হ’ল গবাদি পশু, গম, দুগ্ধজাত পণ্য, ভুট্টা এবং খড়।
বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে শিল্প ও পরিষেবা খাতগুলি ব্যাপক প্রসার লাভ করে। রাষ্ট্রের অর্থনীতি বহুমুখি এবং এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পগুলি কেন্দ্রীভূত করার জন্য উল্লেখযোগ্য। অন্যান্য শিল্পের মধ্যে রয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক পণ্য, এবং স্বর্ন, রুপা ও মলিবেডেনাম এর মত ধাতু উত্তোলন। কলোরেডোতে এখন দেশের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বিয়ারের বৃহত্তম বার্ষিক উৎপাদন হয়।
রাষ্ট্রের বৈচিত্রপূর্ন ভূখন্ড এবং রাজকীয় পর্বতমালা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটককে আকর্ষণ করে এবং এর মাধ্যমে কলোরেডোর অর্থনীতিতে পর্যটন ব্যাপক অবদান রাখছে।। ২০১৮ সালে পর্যটন থেকে রাষ্ট্রের আয় ছিল ২২.৩ বিলিয়ন ডলার।
কলোরেডো সাধারণভাবে স্বাস্থ্যসেবা গবেষণায় এবং কার্যক্রমে সর্বশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র হিসাবে বিবেচিত। ইতিবাচক অবদানকারী বিষয়গুলির মধ্যে আছে রাজ্যের সুপরিচিত বহিরাঙ্গন বিনোদনের সুযোগ এবং উদ্যোগ। বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও রাষ্ট্রের স্থূলত্বের হার কলোরেডানদের মধ্যে সবচেয়ে কম। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কলোরেডোর বাসিন্দাদের ২০১৪ সালের আয়ু ছিল ৮০.২১ বছর যা যে কোনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘতম।
কলেরেডো দেশের সর্বাধিক শিক্ষিত রাষ্ট্রের মধ্যে স্থান পেয়েছে। কলোরেডানদের ৩৮ শতাংশের কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে যা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কলেজ ডিগ্রী অর্জনের হার এবং ১৪ শতাংশের গ্র্যাজুয়েট বা পেশাদার ডিগ্রী রয়েছে।
কলোরাডো হ’ল অতুলনীয় হাইকিং, ক্যাম্পিং, হোয়াইটওয়াটার র্যাফটিং, মাছ ধরা, নৌকা বাইচ, গল্ফ, ফার্ম টু টেবিল ডাইনিং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসহ আরও অনেক সুযোগ সমৃদ্ধ আদর্শ গ্রীষ্মের গন্তব্য। কলোরেডোর অর্থনীতির অন্যতম শক্তিশালী চালিকা শক্তি পর্যটন। অন্য যে কোনও শিল্পের তুলনায় এটি দ্রুততর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এটি ব্যবসায়িক আয় এবং করের আয় চলমান রাখতে সাহায্য করে এবং এটি স্কুল থেকে শুরু করে পৌর পরিষেবাদিতে পরিবহণ পর্যন্ত সমস্ত কিছুকে সমর্থন যোগায়।
কলোরাডো রুরাল একাডেমি ফর ট্যুরিজম চারটি কর্মসূচির মাধ্যমে পর্যটনকে অর্থনৈতিক বিকাশের কৌশলগুলির সাথে আংগীভূত করতে সম্প্রদায়গুলিকে সহায়তা করে। আন্তর্জাতিক পর্যটন আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে ট্রেড শো, ব্র্যান্ড ইউএসএ বিপণন প্রোগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক পর্যটন সমবায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপনন করে।
এক নজরে কলোরেডো
ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্তি : ১ আগস্ট, ১৮৭৬
রাজধানী : ডেনভার
সরকার
গভর্নর : জারেড পলিস (ডেমোক্র্যাট)
লেফটেন্যান্ট গভর্নর : ডিয়ানে প্রিমেভেরা (ডেমোক্র্যেট)
আইনসভা : সাধারণ পরিষদ
উচ্চ কক্ষ : সিনেট
নিম্ন কক্ষ : প্রতিনিধি হাউজ
বিচার বিভাগ : কলোরেডো সুপ্রিম কোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর : মাইকেল বেনেট (ডেমোক্র্যাট)
জন হিকেনলুপার (ডেমোক্র্যাট)
মার্কিন হাউস প্রতিনিধি : ৪ জন ডেমোক্র্যাট, ৩ জন রিপাবলিকান
আয়তন
মোট : ১০৪,০৯৪ বর্গ মাইল (২৬৯,৮৩৭ বর্গ কিমিঃ)
স্থলভাগ : ১০৩,৭১৮ বর্গ মাইল (২৬৮,৮৭৫ বর্গ কিমিঃ)
জলভাগ : ৩৭৬ বর্গ মাইল (৯৬২ বর্গ কিমিঃ)
উচ্চতা : ৬,৮০০ ফুট (২,০৭০ মিটার)
সর্বাধিক উঁচু : (মাউন্ট এলবার্ট) ১৪,৪৪০ ফুট (৪,৪০১ মিটার)
জনসংখ্যা (২০২০ আদমশুমারি) : মোট ৫,৭৭৩,৭১৪
মাঝারি পরিবারের আয় : ৬৯,১১৭ ডলার
ভাষা : সরকারী ভাষা ইংরেজি
সময় অঞ্চল : ইউটিসি (−) ০৭:০০
গ্রীষ্মকাল : ইউটিসি (−) ০৬:০০
ইউএসপিএস (USPS) সংক্ষেপ : CO