আরকানসাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য অঞ্চলের একটি রাষ্ট্র। আরকানসাস আয়তন অনুযায়ী ২৯তম বৃহৎ এবং ৩৩ তম জনবহুল মার্কিন রাজ্য। আরকানসাস ১৮১৯ সালে একটি পৃথক অঞ্চল হয়ে ওঠে এবং ১৮৩৬ সালে রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জন করে। ক্রীতদাস রাষ্ট্র আরকানসাস নবম রাষ্ট্র হিসেবে ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গৃহযুদ্ধের সময় আমেরিকার কনফেডারেট রাষ্ট্রে যোগ দেয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত ও পৃথক করার জন্য রাষ্ট্র বিভিন্ন জিম ক্রো আইন চালু করে। ১৯৫০-এর দশকে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময় আরকানসাস এবং বিশেষ করে লিটল রক, স্কুলগুলিতে একীভূতকরন প্রচেষ্টার প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র ছিল।
আরকানসাসের রাজনীতিতে সর্বদা শ্বেতাঙ্গদের স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলন এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের পরেই আফ্রিকান আমেরিকানরা এখানে ভোটাধিকার পায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আরকানসাস অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আসতে শুরু করে এবং সমৃদ্ধি আসা শুরু হয়। ১৯৬০ এর দশকে এই রাজ্য ওয়ালমার্ট কর্পোরেশনের ভিত্তি হয়ে ওঠে। একবিংশ শতাব্দীতে এর অর্থনীতির ভিত্তি ছিল তুলা, সয়াবিন এবং চালের মত গুরুত্বপূর্ণ ফসলের পাশাপাশি পরিষেবা শিল্প, বিমান, হাঁস, ইস্পাত এবং পর্যটন।
আরকানাসাস এর প্রতিবেশীরা হল উত্তরে মিসৌরি, পূর্বে টেনেসি এবং মিসিসিপি, দক্ষিণে লুইজিয়ানা, দক্ষিণ-পশ্চিমে টেক্সাস এবং পশ্চিমে ওকলাহোমা।
উত্তর আমেরিকার ইউরোপীয় বসতির পূর্বে আরকানসাসে হাজার হাজার বছর ধরে আদিবাসীরা বসবাস করত। ইউরোপীয়দের মধ্যে প্রথম ১৫৪১ সালে স্প্যানিশ অভিযাত্রী হারনান্দো ডি সোটো মিসিসিপি অতিক্রম করেন এবং মধ্য আরকানসাস ও ওজার্ক পর্বতমালা জুড়ে অভিযাত্রা পরিচালনা করেন। বিবেচনায় নেয়ার মত মূল্যবান কিছুই না পেয়ে এবং সর্বত্র দেশীয় প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়ে তিনি এবং তার লোকেরা মিসিসিপি নদীর দিকে ফিরে আসেন যেখানে ডি সোটো অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মৃত্যুশয্যা থেকে তিনি তার লোকদের নিকটবর্তী অনিলকো গ্রামের সমস্ত পুরুষদের হত্যা করার আদেশ দেন। তার বাহিনী তার আদেশ মেনে চলে পুরুষদের সাথে সাথে নারী ও শিশুদেরও হত্যা করে। এর পরপরই ১৫৪২ সালের মে মাসে আরকানসাসের আধুনিক ম্যাকআর্থার’এর আশেপাশে তিনি মারা যান।
এরপর তার প্রাক্তন সহযোগী মোসকোসোর নেতৃত্বে তার বাহিনী নৌকার একটি ছোট বহর তৈরি করে এবং মিসিসিপি নদী হয়ে অবশেষে জলপথে মেক্সিকোর দিকে যাত্রা করে।
ফ্রেনডমান টন্টি ১৬৮৬ সালে কোয়াপা গ্রামে আরকানসাস পোস্ট প্রতিষ্ঠা করে এই অঞ্চলের প্রথম ইউরোপীয় বসতি গড়ে তোলে। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৮০৩ সালে ‘লুইজিয়ানা পারচেজ’ নামে পরিচিত একটি লেনদেনের মাধ্যমে ফরাসি লুইজিয়ানাকে সম্পূর্ন আরকানাসাস সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করে দেন।
আরকানসাসে দাসত্ব প্রথা কয়েক দশক ধরে ভৌগলিক বিভাজন তৈরির একটি স্থায়ী সমস্যা হয়ে ওঠে। দক্ষিণ-পূর্ব আরকানসাসে তুলা চাষের অর্থনীতির মালিক এবং পরিচালকরা দৃঢ়ভাবে দাসত্বকে সমর্থন করত কারণ তাদের দৃষ্টিতে দাস শ্রমই ছিল তাদের ফসল সংগ্রহের সর্বোত্তম বা “একমাত্র” অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর উপায়।
১৮৩০ এর দশকে ইউরোপীয় আমেরিকানরা পূর্ব উপকূল জুড়ে এবং মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলে বসতি স্থাপনের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনেক স্থানীয় আমেরিকান উপজাতিদের মিসিসিপি নদীর পশ্চিমে আরকানসাস এবং ভারতীয় অঞ্চলগুলিতে সরে যেতে বাধ্য করে।
আরকানসাস রাষ্ট্র মর্যাদার জন্য আবেদন করলে দাসত্বের বিষয়টি পুনরায় ওয়াশিংটন ডিসি-তে উত্থাপিত হয়। কংগ্রেস অবশেষে ২৫ ঘণ্টার অধিবেশনের পর ১৫ জুন ১৮৩৬ তারিখ প্রায় ৬০,০০০ অধিবাসীর আরকানসাসকে ২৫তম রাষ্ট্র এবং ত্রয়োদশ দাস রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে আরকানসাসের সংবিধান অনুমোদন করে।
এখানকার বাসিন্দারা সাধারণভাবে গৃহযুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল। ১৮৬১ সালের গোড়ার দিকে যখন উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলি বিযুক্ত হয়ে যায় তখন আরকানসাস ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। আব্রাহাম লিংকন বিদ্রোহ রোধ করার জন্য আরকানসাস সেনাদের ফোর্ট সাম্টারে প্রেরণের দাবি না করা পর্যন্ত আরকানসাস বিযুক্ত হয়নি। ৬ মে একটি রাষ্ট্রীয় সম্মেলন আরকানসাসের ইউনিয়ন সদস্যপদ বাতিল এবং আমেরিকার কনফেডারেট স্টেটস-এ যোগদানের পক্ষে ভোট দেয়।
সেনাবাহিনী পুনর্গঠন আইনের অধীনে কংগ্রেস ১৮৬৮ সালের জুন মাসে আরকানসাসকে ইউনিয়নে পুনঃসংযোগের ঘোষণা দেয়। আরকানসাস শীঘ্রই চরমপন্থী রিপাবলিকান এবং ইউনিয়নবাদীদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এসময় কু ক্লাক্স ক্ল্যান সংক্ষেপে কে কে কে বা ক্ল্যান নামে পরিচিত একজন আমেরিকান শ্বেতাংগ আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসীর সহিংস গোষ্ঠী হিসাবে উন্মেষ ঘটে। আফ্রিকান আমেরিকানদের পাশাপাশি তার প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু ছিল ইহুদি, অভিবাসী, বামপন্থী, সমকামী, ক্যাথলিক, মুসলমান এবং নাস্তিকরা।
পুনর্গঠনের পরে রাজ্যটি আরও অভিবাসী গ্রহণ শুরু করে। উন্নয়নশীল ডেল্টা অঞ্চলে চীনা, ইতালিয়ান এবং সিরিয়ান পুরুষদের কৃষিকাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এই জাতীয়তার কেহই কৃষিক্ষেত্রে বেশি দিন অবস্থান করেনি; বিশেষ করে চীনারা দ্রুত ডেল্টার আশেপাশের শহরগুলিতে ছোট ছোট ব্যবসা শুরু করে। অনেক চীনা ব্যবসায়ে এতটাই সফল হয় যে তারা তাদের সন্তানদের কলেজে শিক্ষিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের অভিবাসনে পূর্ব ইউরোপের লোক অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অভিবাসীরা সকলে একসাথে ডেল্টাকে বাকি রাজ্যের চেয়ে বৈচিত্র্যময় করে তুলে। একই বছরগুলিতে কিছু কৃষ্ণাঙ্গ অভিবাসী নিম্নাঞ্চলের উন্নয়ন এবং তাদের নিজস্ব সম্পত্তির মালিক হওয়ার সুযোগের কারণে এই অঞ্চলে চলে এসেছিল।
ক্ষমতায় থাকার জন্য ১৮৯০-এর দশকে আরকানসাসের ডেমোক্র্যাটরা দক্ষিণের অন্যান্য রাজ্যগুলিকে অনুসরণ করে আইন ও সংবিধান সংশোধন করে যা কৃষ্ণাঙ্গ ও দরিদ্র শ্বেতাঙ্গকে অধিকার বঞ্চিত করেছিল। ১৯০০ সালের মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি কাউন্টি এবং রাষ্ট্রীয় নির্বাচনে ‘হোয়াইট প্রাইমারী’র ব্যবহার প্রসারিত করে এবং কৃষ্ণাঙ্গদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে অস্বীকার করে।
১৯০৫ এবং ১৯১১ এর মধ্যে আরকানসাসে ইউরোপ থেকে জার্মান, স্লোভাক এবং স্কটস-আইরিশদের ক্ষুদ্রাকারে অভিবাসন শুরু হয়। জার্মান এবং স্লোভাক জনগণ রাজ্যের পূর্ব অংশে বসতি স্থাপন করে এবং আইরিশরা রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে ছোট ছোট সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করে।
কৃষ্ণাঙ্গ বর্গা চাষীরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে একটি কৃষক ইউনিয়ন সংগঠিত করার চেষ্টা শুরু করে তারা তুলা বাগানের শ্বেতাংগ জমির মালিকদের কাছ থেকে আরো ভাল পারিশ্রমিক এবং হিসাব নিকাশের শর্ত দাবি করছিল। শ্বেতংগরা যে কোনও পরিবর্তনকে প্রতিহত করে আসছিল এবং প্রায়শই তাদের সভাগুলি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ দুজন শ্বেতাঙ্গ একজন স্থানীয় ডেপুটিকে নিয়ে কৃষক ইউনিয়ন সংগঠিত করার চেষ্টায় রত কৃষ্ণাঙ্গ বর্গা চাষীদের একটি সভা ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে। সভায় গার্ডদের সাথে সংঘর্ষে একজন শ্বেতাঙ্গ ডেপুটি নিহত হওয়ার পরে কথাটি শহর ও আশেপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। কৃষ্ণাঙ্গদের দমন করতে ফিলিপস এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে কয়েক শতাধিক শ্বেতাঙ্গ ছুটে এসে ব্যাপকভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর আক্রমণ শুরু করে। গভর্নর চার্লস হিলম্যান ব্রো ফেডারেল সেনাদের এ গনহত্যা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। শ্বেতাঙ্গ জনতা কাউন্টি জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং ১ অক্টোবরের পর বেশিরভাগ সহিংসতা দমন করার পূর্বে প্রায় ২৩৭ জন কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করে। এই ঘটনায় পাঁচ শ্বেতাঙ্গও প্রাণ হারায়।
১৯৫৪ সালের ব্রাউন বনাম টোপেকা, কানসাস শিক্ষা বোর্ডের রায়ে সরকারী স্কুলগুলিতে পৃথকিকরন অসাংবিধানিক রায় দেওয়ার পর কিছু শিক্ষার্থী রাজ্যের স্কুলগুলিতে একত্রীকরনের কাজ করে। ১৯৫৭ সালে আরকানসাস জাতীয় মনোযোগ আকর্ষন করে যখন রাজধানী লিটল রক’এ একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে একত্রীকরনের চেষ্টা করা আফ্রিকান-আমেরিকান শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য ফেডারেল সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। গভর্নর অরভাল ফাউবস পৃথককারীদের লিটল রকের সেন্ট্রাল হাই স্কুলে নয়জন আফ্রিকান-আমেরিকান শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়া থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করতে আরকানসাস ন্যাশনাল গার্ডকে আদেশ করেন। ফাউবাসের সাথে যোগাযোগের জন্য তিনবার চেষ্টা করার পর রাষ্ট্রপতি ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ তারিখ আফ্রিকান-আমেরিকান শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশের সময় তাদের পাহারা ও সুরক্ষার জন্য সক্রিয় ১০১ তম এয়ারবোর্ন বিভাগ থেকে এক হাজার সেনা প্রেরণ করেন। ১৯৫৯ এর অক্টোবরের মধ্যে লিটল রক উচ্চ বিদ্যালয়গুলিতে সম্পূর্ণভাবে একত্রীকরন সম্পন্ন হয়ে যায়।
২০১৯ সালের হিসাবে আরকানসাসের জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক ৩,০১৭,৮০৪। জাতি এবং জাতিগত দিক থেকে রাজ্যে ৮০.১% শ্বেতাঙ্গ (২৪.২% অ-হিস্পানিক), ১৫.৬% কৃষ্ণাঙ্গ বা আফ্রিকান আমেরিকান, ০.৯% আমেরিকান ভারতীয় এবং আলাস্কা আদিবাসী, ১.৩% এশীয় এবং দুই বা ততোধিক বর্ণের ১.৪% ছিল। যে কোনও বর্ণের হিস্পানিক বা লাতিনো ছিল জনসংখ্যার ৬.৬%।
দক্ষিণের অন্যান্য রাজ্যের মতো আরকানসাসও বাইবেল বেল্টের অংশ এবং প্রধানত প্রোটেস্ট্যান্ট।
বর্তমানে জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশই কৃষিক্ষেত্রে নিযুক্ত রয়েছে। এটি রাজ্যের অর্থনীতির একটি বড় অঙ্গ হিসাবে রয়ে গেছে, পণ্য বিক্রির মূল্য বিবেচনায় দেশে এর স্থান ১৩ তম। আরকানসাস হ’ল দেশের বৃহত্তম ধান, ব্রয়লার এবং টার্কি উৎপাদনকারী, এবং তুলা, মুরগী এবং মাছ চাষের (ক্যাটফিশ) জন্য শীর্ষ তিনে রয়েছে। আরকানসাস টিম্বারল্যান্ডস বনায়ন বা বনশিল্পের জন্য বিখ্যাত এবং জাতীয়ভাবে চতুর্থ আর নরম কাঠের উৎপাদনে দক্ষিণে প্রথম স্থানে রয়েছে। আরকানসাস অর্থনীতিতে পর্যটন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; পর্যটনের প্রচারের জন্য অফিসিয়াল ডাকনাম “দ্য ন্যাচারাল স্টেট” এর সৃষ্টি হলেও নামটি এখনো বহাল আছে। আরকানসাস ৫২ টি রাজ্য উদ্যান রক্ষণাবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় উদ্যান পরিষেবা আরকানসাসে সাতটি সম্পত্তি সংরক্ষণ করছে।
আরকানসাসে ১,০৬৪ টি রাষ্ট্রীয় অনুদানপ্রাপ্ত কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক, জুনিয়র এবং সিনিয়র হাই স্কুল রয়েছে। এখানে দুটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা, আরকানসাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা এবং ইউনিভার্সিটি অফ আরকানসাস ব্যবস্থা সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলির একটি নেটওয়ার্ক রাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট।
আমেরিকার ৪২ তম রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন আরকানসাসের একটি ছোট শহর হোপ’এ জন্মগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে ক্লিনটন বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ১২ বছর আরকানসাসের গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
এক নজরে আরকানসাস
আরকানসাসে বিভিন্ন ধর্মালম্বির আনুপাতিক হার
প্রোটেস্ট্যান্ট : ৭০%
কোন ধর্মের অনুসারী নয় : ১৮%
ক্যাথলিক : ৮%
মুসলিম : ২%
মরমন : ১%
অন্যান্য : ১%
দেশ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্তি : ১৫ জুন, ১৮৩৬
রাজধানী : লিটল রক
সরকার
গভর্নর : আসা হাচিনসন (রিপাবলিকান)
লেফটেন্যান্ট গভর্নর : টিম গ্রিফিন (রিপাবলিকান)
আইনসভা : আরকানসাস সাধারণ পরিষদ
উচ্চকক্ষ : সিনেট
নিম্নকক্ষ : হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস
বিচার বিভাগ : আরকানসাস সুপ্রিম কোর্ট
মার্কিন সিনেটর : জন বুজম্যান (রিপাবলিকান), টম কটন (রিপাবলিকান)
আয়তন
মোট : ৫৩,১৭৯ বর্গমাইল (১৩৭,৭৩২ বর্গ কিমিঃ)
স্থলভাগ : ৫২,০৩৫ বর্গমাইল (১৩৪,৭৭১ বর্গ কিমিঃ)
জলভাগ : ১,১৪৩ বর্গমাইল (২,৯৬১ বর্গ কিমিঃ)
সর্বোচ্চ উচ্চতা (মাউন্ট ম্যাগাজিন) : ২,৭৫২ ফুট (৮৩৯ মিটার)
জনসংখ্যা (২০২০)
মোট : ৩,০১৩,৭৫৬
মধ্যম পরিবারের আয় : $৪৫,৮৬৯
সরকারী ভাষা : ইংরেজি
সময় অঞ্চল
ইউটিসি – ০৬ : ০০ (কেন্দ্রীয়)
ইউএসপিএস সংক্ষিপ্তরূপ : AR