ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স তাদের স্টারশিপ রকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রথমবারের মতো সফলভাবে লঞ্চ প্যাডে ফেরত আনার মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছে। এর মধ্য দিয়ে মহাকাশ প্রযুক্তিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
স্পেসএক্সের এই সাফল্য পেতে পাঁচবার চেষ্টা করতে হয়েছে, আগের চারবার তারা ব্যর্থ হয়েছিল। স্টারশিপ রকেট হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশযান, যা দুটি মূল অংশ নিয়ে গঠিত। এর প্রথম অংশ হলো “সুপার হেভি বুস্টার”, যা তরল গ্যাসের জ্বালানিতে চালিত রকেট। দ্বিতীয় অংশ হলো “স্টারশিপ”, যা মহাকাশযান হিসেবে কাজ করে এবং বুস্টারের ওপর বসানো থাকে।
স্টারশিপ রকেটটি ১০০ টনের বেশি সরঞ্জাম বা ১০০ জন আরোহী বহন করতে সক্ষম। সুপার হেভি বুস্টারে রয়েছে ৩৩টি ইঞ্জিন, যা নাসার আর্টেমিস রকেটের তুলনায় দ্বিগুণ শক্তিশালী।
টেক্সাসের বোকা চিকায় অবস্থিত স্পেসএক্সের মহাকাশ কেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭:২৫ মিনিটে সুপার হেভি বুস্টারটি উৎক্ষেপণ করা হয়। রকেটটি আকাশে উড়ার পর দ্বিতীয় ধাপের স্টারশিপ অংশটি আলাদা হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে সেই উৎক্ষেপণ টাওয়ারে, যেখান থেকে এটি লঞ্চ হয়েছিল।
উৎক্ষেপণ টাওয়ারের রোবোটিক শাখা ‘চপস্টিক’ বুস্টারটিকে ধরে ফেলে। ইলন মাস্ক টাওয়ারের সফলভাবে রকেটটি ধরার খবরটি জানিয়ে এক্সে (সাবেক টুইটারে) উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
ইলন মাস্কের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো, এমন রকেট তৈরি করা যা একাধিকবার ব্যবহারযোগ্য এবং একসঙ্গে শতাধিক মানুষকে মঙ্গল বা চাঁদে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। স্টারশিপ রকেট সেই লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে অন্যগ্রহে মানববসতি স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হবে।