ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো নীরবতা ভাঙলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি শক্তিগুলোর হাত রয়েছে।
গত শনিবার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এই অভিযোগ করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট এই বার্তাটি দেখতে পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সেন্ট মার্টিন ও বঙ্গোপসাগর ছেড়ে দিতাম, তাহলে ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।”
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শক্তি বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির পেছনে সক্রিয় রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
তিনি সতর্ক করেছেন নতুন সরকারকে, যেন তারা কোনো বিদেশি শক্তির দ্বারা প্রভাবিত না হয়। শেখ হাসিনা বলেন, “লাশের মিছিল দেখতে না হয়, সে জন্যই আমি পদত্যাগ করেছি।”
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা শিগগিরই দেশে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, “পরাজয় আমার, কিন্তু জয়ী হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। আমি শিগগিরই ফিরব, ইনশাআল্লাহ।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে এবং তিনি কখনোই শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলেননি। একটি গোষ্ঠী তার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ফায়দা নিয়েছে।