রনি চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ওপর। গত তিন মাসে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি কমেছে। দুই দেশের মধ্যে রেলপথের মাধ্যমে বাণিজ্যের অধিকাংশ আমদানি হয়ে থাকে চুয়াডাঙ্গা দর্শনার রেলবন্দর দিয়ে। অথচ দর্শনার এই আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমেছে গড়ে ৮০ শতাংশ। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৭৯৮টি ওয়াগনে ১২ লাখ ৩২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে রাজস্ব আয় হয় ৫৯ কোটি টাকা। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯ হাজার ৭শ ৪৯টি ওয়াগনে আমদানি হয় ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৯ মেট্রিক টন পণ্য। যা থেকে রাজস্ব আয় হয় মাত্র ২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এক হাজার ৫শ ৫৪টি ওয়াগনে ৯১ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। যা থেকে আয় হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। সূত্র জানিয়েছে, কোনো দেশের পক্ষ থেকেই বাণিজ্য বন্ধ বা নিরুৎসাহিত করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই একটা মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এ কারণে আমদানি-রপ্তানি কমছে। আবার আন্দোলনের কারণে সরবরাহ চেইন নির্বিঘ্ন ছিল না। তা ছাড়া এই সময়টায় মৌসুমি কিছু পণ্যের আমদানি কিছুটা কম হয়। জানা গেছে, ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে মালবাহী ওয়াগনে করে পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। দ্রুত সময়ে পণ্য আমদানি ও খালাসের পর সেগুলো নির্দিষ্ট স্থানে চাহিদামতো সরবরাহ করা হয়। তবে নানা কারণে আমদানি কমে গেছে এ বন্দরে। ব্যবসায়ীদের মতে, ব্যাংক চাহিদামতো এলসি অনুমোদন না করায় পণ্য আমদানি করতে পারছেন না তারা। অল্প কিছু পণ্য আমদানি করা হলেও রেল ইয়ার্ডে নেই আগের মতো কর্মব্যস্ততা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় অনেক শ্রমিক ও ট্রাক চালক। তারা জানান, কাজ না থাকায় তাদের অলস সময় পার করতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে সংসার খরচে। এভাবে চলতে থাকলে তাদের পথে বসা ছাড়া উপায় নেই। চুয়াডাঙ্গা দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মির্জা কামরুল হক জানান, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কমেছে পণ্য আমদানি। এতে রাজস্ব আদায়ও কমেছে