চুয়াডাঙ্গা যৌথবাহিনীর অভিযানে সরকারি ৯ বস্তা চাল উদ্ধার। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পীরগঞ্জ ঠাকুরপুরে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারি ৯ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ট্রলি চালক মুক্তার আলীর (৩৫) ঘর থেকে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তারকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তিনি ঠাকুরপুর গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। এছাড়াও, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আরোও দুজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন— ঠাকুরপুর গ্রামের মৃত হারিস উদ্দীনের ছেলে টিটন হোসেন ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মোকসেদ মণ্ডলের ছেলে ইকরামুল হক ইকরা। গতকাল রাতে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এ ঘটনার বিষয়ে একটি পক্ষ বলছে, ৯জন কার্ডধারীর কার্ডের মাধ্যমে ডিলারের নিকট থেকে চালগুলো উত্তোলন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভিযানের আগে বেলা ২টার দিকে গ্রামের পঁচা নামের এক ভ্যানচালক ৯ বস্তা চাল মুক্তারের বাড়িতে নামিয়ে দেয়। এসময় চালের বস্তাগুলো নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করে। শুকুর আলী জানান, একই গ্রামের মৃত হারিস উদ্দীনের ছেলে ক্যারাম বোর্ড ব্যবসায়ী টিটন হোসেন দুপুরে পচাঁর ভ্যানযোগে নয় বস্তা চাল তার বাড়িতে পাঠান। দুপুরে তিনি বাড়িতে এসে স্ত্রী চুমকি খাতুনের নিকট থেকে এ ঘটনা জানতে পারেন। তিনি বলেন, ‘চালগুলোর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। টিটন হোসেন আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। সে চালগুলো কোথায় পেয়েছে তাও আমার জানা নেই।’ তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, চালগুলো টিসিবির ৯জন কার্ডধারীর। তাদের কার্ডগুলো একত্রিত করে একসাথে চালগুলো উঠানো হয়েছিলো। তবে ওই ৯জনের মধ্যে পক্ষ—বিপক্ষ তৈরি হওয়ায় যৌথবাহিনীর কাছে চালের বস্তাগুলো নিয়ে অভিযোগ যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কার্ডধারীদের একজন বলেন, এই চালগুলো নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে একত্রিতভাবে ৯জনের কার্ডের বিপরীতেই নেয়া হয়েছিলো। এদিকে, গতকাল বিকেলেই চালগুলো জব্দ করা হয়। এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তার আলীকে হেফাজতে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘আটক মুক্তার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা আরও কিছু তথ্য হাতে পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত জানানো সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানানো হবে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’