ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে দীর্ঘ ৩ মাস ১৪ দিন পর আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত বরগুনা জেলার আমির হোসেনের মরদেহ কবর উত্তোলন করেন পিবিআই পুলিশের সদস্যরা। বরগুনা জেলার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কালাম খাঁন বিষয়টি দেশ বানীকে নিশ্চিত করেন। বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া নামক এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালতলী উপজেলার মৌপাড়া নামক এলাকার মৃত্যু আলতাফ তালুকদারের ছেলে নিহত আমির হোসেন কাজের তাগিদে ঢাকার রামপুরা এলাকায় স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ঐ এলাকায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী-জনতার ওপর পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় জুমা’র নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে ফেরার পথে আমির গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে আমিরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের বাড়ি তালতলীতে নিয়ে এসে তার বাবার কবরের পাশে দাফন করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর নিহত আমিরে স্ত্রী আন্নি আক্তার বাদী হয়ে ঢাকার রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে আমিরের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আমির হোসেনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই কবর দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে নিহতের ঘটনায় মামলা হওয়ায় আদালতের নির্দেশনায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমার উপস্থিতিতে আমির হোসেনের মরদেহ উত্তোলন করেছে পিবিআই। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কালাম খাঁন দেশ বানীকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পিবিআই পুলিশের সদস্যরা কবর থেকে আমিরের মরদেহ উত্তোলন করেন। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো.মাসুদ রানা বলেন, নিহতের স্ত্রীর আদালতে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ ময়না তদন্তের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।