সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়। সন্দেহভাজন হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। একজন সমর্থকও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা অ্যাটর্নি রিচার্ড গোলডিঞ্জার।
নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবে বক্তব্য শুরু করেছেন। হঠাৎই গুলির শব্দ। মঞ্চে বসে পড়েন ট্রাম্প। নিরাপত্তাকর্মীরা ঘিরে ধরেন তাঁকে। পরে ট্রাম্প উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। দেখা যায়, ডান কান থেকে রক্ত ঝরছে তাঁর। মুখমণ্ডলেও রক্ত।
তখন ট্রাম্প মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে বলে ওঠেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট!’
তবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাস চারেক আগে ট্রাম্পের ওপর কেন হামলা হলো, সেটা এখনো জানা যায়নি। জানানো হয়নি সন্দেহভাজন হামলাকারীর পরিচয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।
হামলার পরপরই ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দেন। তাতে নিজেই জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প লিখেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
গুলিতে ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে বলেও ওই পোস্টে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি জানান, ‘হঠাৎ আমি শব্দ শুনি, সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি অঘটন ঘটেছে। আর তখনই অনুভব করি গুলি আমার চামড়া ফুটো করে দিয়েছে। অনেক রক্ত পড়তে থাকে, আমি তখন বুঝতে পারি কী ঘটেছে।’ ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা করা হয় বলে মনে হচ্ছে।
গুলিতে আহত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।