কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে এ আল্টিমেটাম দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। এসব দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,
“আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে যদি সরকার এ দাবি পূরণ না করে তবে সোমবার থেকে বাংলা ব্লকেড ও শাটডাউনের চেয়ে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে ছাত্রসমাজ রাজপথে নামবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান মাসুদের সঙ্গে আরেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার, সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশীদ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারকে অতি দ্রুত সব অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কমিশন গঠন করে এর সুপারিশ অনুযায়ী সংসদে আইন পাস করার আহ্বান জানান।
রোববারের কর্মসূচি তুলে ধরে মাসুদ বলেন, “আগামীকাল রোববার সারাদেশে অনলাইন ও অফলাইনে রাষ্ট্রীয় গণহত্যা ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা তুলে ধরব, গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন করব।
“বিদেশে যারা আছেন, তারা প্রত্যেকটি ডকুমেন্টেশন বিভিন্ন অ্যাম্বাসিতে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি। সার্বিক বিষয়ে পরশু দিন আমরা বিশ্ব বিবেকের কাছে আমরা ব্রিফ করব। গণহত্যার ডকুমেন্ট তুলে ধরব।”
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন “সারাদেশে সাড়ে তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গুম করা হয়েছে।
”আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের ফেরত, গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে এবং যত মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে। মন্ত্রী থেকে শুরু করে পুলিশ কনস্টেবল পর্যন্ত যারা এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, প্রত্যেককে অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, ঢাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে আজ পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এছাড়া নাহিদ ইসলামসহ সমন্বয়কদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গেলেও পাঁচ মিনিটের বেশি দেখা করতে দেওয়া হয়নি।