Monday, December 23, 2024

ফ্লোরিডা

ফ্লোরিডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের একটি রাজ্য – দক্ষিণ-পূর্ব রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল এবং টেক্সাসের পরে দক্ষিনের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য।

ফ্লোরিডার বৃহত্তর অংশ একটি উপদ্বীপে অবস্থিত যা উত্তর আমেরিকা মহাদেশ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রসারিত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরকে মেক্সিকো উপসাগর থেকে আলাদা করে রেখেছে। শুধুমাত্র দুটি রাজ্যের সাথে ফ্লোরিডার স্থল সীমানা রয়েছে, উভয়ই এর উত্তর সীমানা বরাবর: জর্জিয়া (পূর্ব পার্শ্বে) এবং আলাবামা (পশ্চিম পার্শ্বে)। রাজ্যের রাজধানী হল তালাহাসি। প্রায় ৬.২ মিলিয়ন জনসংখ্যার মিয়ামি মেট্রোপলিটন এলাকা ফ্লোরিডার সবচেয়ে জনবহুল শহর।

বিভিন্ন আমেরিকান আদিবাসী গোষ্ঠী কমপক্ষে ১৪,০০০ বছর ধরে ফ্লোরিডায় বসবাস করছে। স্প্যানিশ অভিযাত্রী জুয়ান পন্স দে লিওন ১৫১৩ সালে সেখানে আগমন করেন এবং এই অঞ্চলটির নাম দেন লা ফ্লোরিডা (স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ “ফুল”), এবং এটিকে স্পেনের জন্য দাবি করেন। আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান এলাকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউরোপীয় শক্তির ঐতিহাসিক সংগ্রামে ফ্লোরিডা একটি বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছিল। ১৫৬৫ সালে ফ্লোরিডার উত্তর পূর্ব উপকূলে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট অগাস্টিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মহাদেশীয় সীমানার মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ইউরোপীয় বসতি। ১৮৯০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করার পূর্ব পর্যন্ত ফ্লোরিডাকে নিয়ে স্পেন এবং গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে বারবার প্রতিদ্বন্দিতা চলতে থাকে। এটি ২৭ তম রাজ্য হিসাবে ৩ মার্চ ১৮৪৫ অন্তর্ভূক্ত হয়। রাজ্যটি ১০ জানুয়ারী, ১৮৬১ সালে ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সাতটি মূল কনফেডারেট রাজ্যের একটি হয়ে ওঠে। গৃহযুদ্ধের পরে ফ্লোরিডা ২৫ জুন, ১৮৬৮ সালে ইউনিয়নে পুনঃসংযুক্ত হয়।

স্পেন স্থানীয় উপজাতিদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করে এই অঞ্চলের উপর কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। ক্যাথলিক ধর্মে ধর্মান্তরের বিনিময়ে স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্প্যানিশরা তেরোটি উপনিবেশের ক্রীতদাসদের আশ্রয় হিসেবে ফ্লোরিডায় আসতে উৎসাহিত করে। স্পেনের রাজা দ্বিতীয় চার্লস স্প্যানিশ ফ্লোরিডায় পালিয়ে যাওয়া এবং ধর্মান্তর ও ব্যাপ্টিজম গ্রহণকারী সমস্ত ক্রীতদাসদের মুক্ত করার জন্য একটি রাজকীয় ঘোষণা জারি করেন।

১৭৩৮ সালে ফ্লোরিডার স্প্যানিশ গভর্নর ম্যানুয়েল ডি মন্টিয়ানো সেন্ট অগাস্টিনের কাছে পলাতক ক্রীতদাসদের জন্য গ্রাসিয়া রিয়েল দে সান্তা নামে একটি সুরক্ষিত শহর প্রতিষ্ঠা করেন। এসব ক্রীতদাসদের মন্টিয়ানো তাদের সামরিক সেবা প্রদানের বিনিময়ে নাগরিকত্ব এবং স্বাধীনতা প্রদান করেছিল এবং এই শহর উত্তর আমেরিকায় আইনত অনুমোদিত প্রথম মুক্ত কৃষ্ণাঙ্গ বাসস্থান হয়ে উঠে। ১৭৬৩ সালে স্পেন সাত বছরের যুদ্ধে বৃটিশদের দখলকৃত হাভানা, কিউবার নিয়ন্ত্রণের জন্য যুক্তরাজ্যের সাথে ফ্লোরিডার বাণিজ্য করে। এসময় আদিবাসী জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে সাথে নিয়ে ফ্লোরিডার জনসংখ্যার একটি বড় অংশ কিউবায় চলে যায়।

ফ্লোরিডার জন্য আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে ব্রিটিশ গভর্নরদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাধারণ পরিষদ ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং এর মধ্যেই তাদের পরিষদের পরামর্শে আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছিল। এটি ছিল ইংরেজ থেকে প্রাপ্ত আইনি ব্যবস্থার প্রথম প্রবর্তন যা ফ্লোরিডায় আজও বিদ্যমান রয়েছে, যার মধ্যে জুরি, হেবিয়াস কর্পাস বিচার ব্যবস্থা এবং কাউন্টি-ভিত্তিক সরকার অন্তভূক্ত রয়েছে। ফিলাডেলফিয়ায় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের খসড়া প্রস্তুতির জন্য পূর্ব ফ্লোরিডা বা পশ্চিম ফ্লোরিডা কেহই কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি।

বিপ্লবী যুদ্ধে ব্রিটেনের পরাজয়ের কারনে ১৭৮৩ সালে ভার্সাই চুক্তির পর স্পেন পূর্ব ও পশ্চিম ফ্লোরিডা উভয়ই পুনরুদ্ধার করে এবং ১৮২১ সাল পর্যন্ত প্রাদেশিক বিভক্তি অব্যাহত রাখে।

স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ এবং ফ্লোরিডার সরকার কখনই কার্যকরভাবে সীমান্ত অঞ্চলে পাহারা দিতে সক্ষম হয়নি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যাকউড বসতি স্থাপনকারীরা ফ্লোরিডায় অবিরতভাবে অভিবাসন চালিয়ে যায়। এই অভিবাসীরা, ব্রিটিশ আমল থেকে ফ্লোরিডায় থাকা বিদ্যমান ব্রিটিশ বসতি স্থাপনকারীদের সাথে মিশে ফ্লোরিডা ক্র্যাকার্স নামে পরিচিত জনসংখ্যার পূর্বপুরুষ হয়ে উঠে।

এই আমেরিকান বসতি স্থাপনকারীরা এই অঞ্চলে একটি স্থায়ী দখল কায়েম করে এবং স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করতে থাকে। থেকে যাওয়া ব্রিটিশ বসতি স্থাপনকারীরাও স্প্যানিশ শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল, যার ফলে ১৮১০ সালে একটি বিদ্রোহ ঘটে এবং ২৩ সেপ্টেম্বর নব্বই দিন আয়ুর তথাকথিত মুক্ত ও স্বাধীন প্রজাতন্ত্র পশ্চিম ফ্লোরিডার প্রতিষ্ঠা হয়। একই বছর রাষ্ট্রপতি জেমস ম্যাডিসন লুইসিয়ানা ক্রয়ের অংশ হিসাবে অঞ্চলটি দাবি করেন এবং এক ঘোষনা অনুযায়ী পশ্চিম ফ্লোরিডার কিছু অংশ তার করায়ত্ব করে নেন।

ফ্লোরিডা একসময় স্পেনের জন্য বোঝা হয়ে উঠেছিল এবং তাদের বসতি স্থাপনকারী বা সৈন্য পাঠানোর সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছিল। মাদ্রিদ তাই অ্যাডামস-অনিস চুক্তির মাধ্যমে এই অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যা ১৮২১ সালে কার্যকর হয়েছিল।

১৮৩০ সালে মার্কিন কংগ্রেস ইন্ডিয়ান রিমুভাল অ্যাক্ট পাস করে এবং বসতি বাড়ার সাথে সাথে ফ্লোরিডা থেকে ইন্ডিয়ানদের অপসারণের জন্য মার্কিন সরকারের উপর চাপ বাড়তে থাকে। সেমিনোলসরা (আদিবাসী) কৃষ্ণাঙ্গদের অভয়ারণ্যের প্রস্তাব দেয় এবং এরা কৃষ্ণাংগ সেমিনোল নামে পরিচিত হয়। নতুন বসতি স্থাপনকারীদের আগমনের সাথে শ্বেতাঙ্গ ও ইন্ডিয়ানদেরদের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়তে থাকে। ১৮৩২ সালে পায়নের ল্যান্ডিং চুক্তি ফ্লোরিডা ছেড়ে যেতে রাজি হবার প্রেক্ষিতে মিসিসিপি নদীর পশ্চিমে সেমিনোলসদের ভূমির প্রতিশ্রুতি দেয়। অনেক সেমিনোল এই সময়ে ফ্লোরিডা ছেড়ে চলে যায়।

তবে কিছু সেমিনোল থেকে যায় এবং মার্কিন সেনাবাহিনী ফ্লোরিডায় পৌঁছালে দ্বিতীয় সেমিনোল যুদ্ধ (১৮৩৫-১৮৪২) সংঘটিত হয়। যুদ্ধের পর প্রায় ৩,০০০ সেমিনোল এবং ৮০০ জন কৃষ্ণাংগ সেমিনোলকে ইন্ডিয়ান অঞ্চলে সরিয়ে দেওয়া হয়। ৩ মার্চ, ১৮৪৫ রাষ্ট্রপতি জন টাইলারের কার্যকাল শেষ হওয়ার মাত্র একদিন আগে ফ্লোরিডা ২৭ তম রাষ্ট্রে পরিণত হয়– একটি দাস রাষ্ট্র হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয় এবং এটি পলাতক দাসদের জন্য আর অভয়ারণ্য থাকে না।

সমতল ফ্লোরিডা ভুমি প্রায় ১,৭০০ টি জলস্রোত (বেশিরভাগই উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমে) এবং কয়েক হাজার হ্রদ (বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় অঞ্চলে) দ্বারা আবৃত।

ফ্লোরিডা জুড়ে গ্রীষ্মকাল অভিন্ন। অল্প সময়ের হিমায়িত আবহাওয়া (কিন্তু প্রায়শই কৃষিকে পঙ্গু করে দেয়) দক্ষিণে মিয়ামি পর্যন্ত দেখা যেতে পারে।

গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাত সবচেয়ে বেশি হয়, শীতের মাসগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে। হ্যারিকেন গড়ে বছরে প্রায় একবার রাজ্যে আঘাত হানে। হ্যারিকেনের মৌসুম জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত হয়, যদিও সেপ্টেম্বর মাসে এটি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বার্ষিক গড় তাপমাত্রায় সামান্য পরিবর্তন দেখা যায়। উত্তরে তালাহাসিতে ৬৮°F (২০°C) থেকে দক্ষিণে ৭৭°F (২৫°C) পর্যন্ত।

ঐতিহাসিকভাবে, ফ্লোরিডার অর্থনীতি মূলত কৃষিজাত পণ্য যেমন সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, বাদাম, আখ এবং গবাদি পশুর উপর নির্ভরশীল। ২০ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফ্লোরিডা দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কম জনবহুল রাজ্য ছিল। বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং জাতিগত সহিংসতার কারণে এবং উত্তর ও পশ্চিমে আরও ভালো সুযোগের আশায় কৃষ্ণাংগরা এই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ১৯৬০-এর দশকের নাগরিক অধিকার আন্দোলন তাদের সাংবিধানিক ভোটাধিকার সুরক্ষা কার্যকর করার জন্য ১৯৬৫ সালে ফেডারেল আইন পাশ না করা পর্যন্ত রাজ্যে বেশিরভাগ আফ্রিকান আমেরিকানদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকা বহাল ছিল। ফ্লোরিডার অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। ২০১৮ সালের হিসাবে মোট রাষ্ট্রীয় পণ্য (GSP) হল প্রায় ১.০ ট্রিলিয়ন ডলার যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। ১৮০০ এর দশকের শেষের দিকে জাতীয় বাজারে চালানের জন্য সাইট্রাস চাষ, ফসফেট খনি, কাঠ শিল্প এবং সিগার উৎপাদন ফ্লোরিডার অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বহন করছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, এবং নির্ভরশীল শিশুদের সহ পরিবারের জন্য সহায়তা কর্মসূচির একটি সুবিন্যস্ত ব্যবস্থা পরিচালনা করে। স্বাস্থ্য এবং হাসপাতালের জন্য ফ্লোরিডার মাথাপিছু ব্যয় মার্কিন গড়কে ছাড়িয়ে গেছে এবং এটি ঘন বসতির রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে জনকল্যাণমূলক অর্থপ্রদান দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। আংশিকভাবে এটি ফ্লোরিডার গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় পরিবেশে আশ্রয় নেওয়া অন্যান্য রাজ্যের অভাবী লোকদের কল্যাণ দিতে জনসাধারণের অস্বীকৃতির প্রতিফলন।

ফ্লোরিডা সরকারী স্কুল ব্যাবস্থাকে সমর্থন করে যাতে কোনও শিশু শিক্ষার ন্যূনতম মান থেকে বঞ্চিত না হয়। কাউন্টিগুলি এই ন্যূনতম চাহিদার পরিপূরক বলে আশা করা হয়। কার্যত ফ্লোরিডার সমগ্র জনসংখ্যা যাতায়াতের দূরত্বের মধ্যে রাষ্ট্র-সমর্থিত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষার একটি বিস্তৃত ব্যবস্থার অংশ। ১০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র-সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয়, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৫৩) গ্যাইনেসভিল এবং ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটি (১৮৫১) এবং তালাহাসিতে ফ্লোরিডা এ এন্ড এম (১৮৮৭; ঐতিহাসিকভাবে একটি কৃষ্ণাংগ স্কুল)। বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা ছাড়াও ফ্লোরিডায় কমিউনিটি কলেজগুলির একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক রয়েছে যা প্রযুক্তিগত এলাকায় প্রান্তিক প্রোগ্রাম ছাড়াও প্রথম দুই বছরের বিশ্ববিদ্যালয়-সমমানের কোর্সের সুযোগ প্রদান করে।

২০১৬ সালে পর্যটন শিল্পে প্রায় ১.৪ মিলিয়ন লোক নিয়োগ সহ পর্যটন রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির বৃহত্তম খাতগুলির মধ্যে একটি। রাজ্যটি পর পর টানা আট বছর পর্যটনের রেকর্ড গড়েছে। বিনোদন পার্কগুলি, বিশেষ করে গ্রেটার অরল্যান্ডো এলাকায়, পর্যটনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তৈরি করে। ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট হল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের অবকাশকালীন রিসোর্ট যেখানে বছরে ৫৮ মিলিয়নেরও বেশি দর্শক আসেন। এখানে রয়েছে চারটি থিম পার্ক, ২৭ টি থিমযুক্ত রিসোর্ট হোটেল, নয়টি নন-ডিজনি হোটেল, দুটি ওয়াটার পার্ক, চারটি গল্ফ কোর্স এবং অন্যান্য বিনোদনের স্থান। এই এলাকার অন্যান্য প্রধান থিম পার্কগুলির মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সাল অরল্যান্ডো রিসোর্ট, সি ওয়ার্ল্ড অরল্যান্ডো এবং বুশ গার্ডেন ট্যাম্পা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরোর আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী জুলাই ২০১৯ ফ্লোরিডার জনসংখ্যা ছিল ২১,৪৭৭,৭৩৭ যা ২০১০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি থেকে ১৪.২৪% বেশী।

২০১৮ সালের হিসাবে জাতিগত গঠনঃ

শ্বেতাংগ (হিস্পানিক বা ল্যাটিনো ছাড়া) ৫৩.৫%, শ্বেতাংগ ৭৭.৩%, দুই বা ততোধিক জাতি ২.২%, আমেরিকান আদিবাসী ০.৫%, হিস্পানিক বা ল্যাটিনো (যেকোন জাতির) ২৬.১%, কৃষ্ণাংগ বা আফ্রিকান আমেরিকান ১৬.৯%, এশিয়ান ৩.০%।

২০১৪ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা ফ্লোরিডার নিম্নলিখিত ধর্মীয় বিভাজন দেখিয়েছেঃ

প্রোটেস্ট্যান্ট ৪৬%, ক্যাথলিক ২১%, মরমন ১%, যিহোবার সাক্ষী ১%, অন্য খ্রিস্টান ১%, নির্দিষ্ট্য কিছু না ১৭%, অজ্ঞেয়বাদী ৪%, নাস্তিক ৩%, ইহুদি ৩%, অন্যান্য বিশ্বাস (যেমন হিন্দু, ইসলাম, বৌদ্ধ, শিখ ধর্ম) ৩%।

এক নজরে ফ্লোরিডা

প্রচলিত নাম: সানশাইন স্টেট
মটো: ঈশ্বরে আমরা বিশ্বাস করি
রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার আগে: ফ্লোরিডা টেরিটরি
ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্তি: ৩ মার্চ, ১৮৪৫
রাজধানী: তালাহাসি

সরকার
গভর্নর: রন ডিসান্টিস (রিপাঃ)
লেফটেন্যান্ট গভর্নর: জিনেট নুনেজ (রিপাঃ)
আইনসভা: ফ্লোরিডা আইনসভা
উচ্চকক্ষ: সিনেট
নিম্নকক্ষ: প্রতিনিধি পরিষদ
বিচার বিভাগ: ফ্লোরিডার সুপ্রিম কোর্ট
মার্কিন সিনেটর: মার্কো রুবিও (রিপাঃ), রিক স্কট (রিপাঃ)
মার্কিন হাউস প্রতিনিধি: ১৬ রিপাবলিকান, ১০ ডেমোক্র্যাট, একটি শূন্যপদ

আয়তন
মোট: ৬৫,৭৫৮ বর্গ মাইল (১৭০,৩১২ বর্গ কিমিঃ)
স্থলভাগ: ৫৩,৬২৫ বর্গ মাইল (১৩৮,৮৮৭ বর্গ কিমিঃ)
জলভাগ: ১২,১৩৩ বর্গ মাইল (৩১,৪২৪ বর্গ কিমিঃ)
জনসংখ্যা (২০২০) : মোট ২১,৫৭০,৫২৭
সাধারন পরিবারের আয়: ৫৩,২৬৭ ডলার

ভাষা
সরকারী ভাষা: ইংরেজি
কথ্য ভাষা: প্রধানত ইংরেজি এবং স্প্যানিশ
টাইম জোন: সেন্ট্রাল (GMT − ৬ ঘন্টা)
পূর্বাঞ্চল (GMT − ৫ ঘন্টা)
USPS সংক্ষিপ্ত রূপ: FL

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments