ক্যালিফোর্নিয়া পশ্চিম আমেরিকার একটি রাষ্ট্র। এর পূর্বে নেভাডা, দক্ষিণ-পূর্বে অ্যারিজোনা, পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তরে ওরেগন এবং দক্ষিণে মেক্সিকো রাজ্যের বাজা ক্যালিফোর্নিয়ার সীমানা। প্রায় ১৬৩,৬৯৬ বর্গমাইল (৪২৩,৯৭০ বর্গ কিঃমিঃ) এলাকা জুড়ে ৩৯.৫ মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দার এই অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক জনবহুল এবং তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণতম ও শুষ্কতম স্থান হিসাবে বিবেচিত ডেথ ভ্যালি’তে প্রায়শই গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে উঠে এবং প্রতি বছর গড়ে প্রায় দুই ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। দক্ষিন ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ১০,০০০ টি ভূমিকম্প হয় যদিও এর মধ্যে কেবল ১৫ থেকে ২০ টির মাত্রা ৪.০ এর চেয়ে বেশি হয়।
স্পেনীয় নাবিক জুয়ান রদ্রিগিজ ক্যাব্রিলো প্রথম ইউরোপীয় হিসাবে ১৫৪২ সালে যখন বর্তমান ক্যালিফোর্নিয়ায় এই অঞ্চলটি আবিষ্কার করেন তখন এই অঞ্চলে প্রায় ১৩০,০০০ আমেরিকান আদিবাসীর বসবাস ছিল।
১৭৬৯ সালে স্পেনীয় ভাইসরয় বাজা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে স্থল ও সমুদ্র পথে অভিযান প্রেরন করলে ফ্রান্সিকান জুনেপেরো সেরা ‘সান দিয়েগো’তে প্রথম মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। গ্যাস্পার ডি পোর্টোলা ১৭৭০ সালে মন্টেরিতে একটি সামরিক ফাঁড়ি স্থাপন করেন। একই সময়ে, স্পেনীয় সামরিক বাহিনী বেশ কয়েকটি দুর্গ এবং তিনটি ছোট শহর গড়ে তুলে। সান ফ্রান্সিসকো মিশন সান ফ্রান্সিসকো শহরে পরিনত হয় এবং লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান জোস দুটি ক্ষুদ্র শহরতলী বৃহৎ শহরে রুপান্তরিত হয়।
১৮২১ সালের মেক্সিকোর স্বাধীনতা যুদ্ধ মেক্সিকোকে (ক্যালিফোর্নিয়া সহ) স্পেন থেকে স্বাধীনতা এনে দেয়। পরবর্তী ২৫ বছর আলতা ক্যালিফোর্নিয়া (Alta California) সদ্য স্বাধীন দেশ মেক্সিকোর একটি প্রত্যন্ত, খুব কম জনবহুল, উত্তর-পশ্চিম প্রশাসনিক জেলা হিসাবে রয়ে যায়। রাজ্যের সর্বাধিক সেরা ভূমির নিয়ন্ত্রণকারী মিশনগুলিকে ১৮৩৪ সালের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষ করে মেক্সিকান সরকারের সম্পত্তিতে পরিণত করা হয়। আমেরিকান আদিবাসীদের নিষ্ঠুরভাবে শোষণ ও হ্রাস করা হয়।
১৮৪৬ সালে সোনোমা এবং এর আশেপাশের আমেরিকান বসতি স্থাপনকারীদের একটি দল “বিয়ার পতাকা বিদ্রোহ”এর (Bear Flag Revolt) সময় মেক্সিকান শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এরপরে, বিদ্রোহীরা সোনোমায় ‘বিয়ার পতাকা’ উত্তোলন করে (একটি ভাল্লুক, একটি তারা, একটি লাল রেখা এবং “ক্যালিফোর্নিয়া রিপাবলিক” লিখা)। ক্যালিফোর্নিয়া রিপাবলিক খুব অল্প সময় টিকে ছিল; একই বছর মেক্সিকান-আমেরিকান যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। মার্কিন নৌবাহিনীর কমোডর জন ডি স্লোট মন্টেরে বে’তে অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্যালিফোর্নিয়ায় সামরিক দখল শুরু করলে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া মার্কিন বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় একাধিক প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধের পর আমেরিকান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে ১৩ ই জানুয়ারি, ১৮৪৭ তারিখ ক্যালিফোর্নিয়ারা কাহুঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৮৪৮ সালের প্রথম দিকে নিউ জার্সির কাঠমিস্ত্রি জেমস উইলসন মার্শাল তার করাতকলের স্থানে আমেরিকান নদীতে কিছু স্বর্নপিন্ড পায়। (এই আবিষ্কারের ঘটনা ঘটে মেক্সিকান-আমেরিকান যুদ্ধের সমাপ্তির ঠিক নয় দিন আগে) জেমস মার্শালের স্বর্ন প্রাপ্তির পর মাত্র চার বছরে ক্যালিফোর্নিয়ার জনসংখ্যা ১৪,০০০ থেকে ২৫০,০০০ এ বৃদ্ধি পায়। খুব অল্প সংখ্যক অন্বেষনকারী এখান থেকে লাভবান হতে পেরেছিল। এই কাজ ছিল বেশ কঠিন এবং জীবনযাত্রার অবস্থা ছিল আদিম প্রকৃতির। বুদ্ধিমান অভিবাসীরা কৃষক এবং দোকানদারি পেশা গ্রহন করে নেয়। স্বর্ন অন্বেষন ১৮৫০ সালে রাষ্টৃ মর্যাদা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছিল। ১৮৫২ সালে স্বর্ন অন্বেষন শীর্ষ পর্যায়ে থাকলেও বসতি স্থাপনের গতি পরবর্তি সময়ে কমে যায় নি। খনির কাজ একপ্রকার শেষ হওয়ার আগেই প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ আহরণ করা হয়েছিল।
‘১৮৫০ এর সমঝোতায়’ ক্যালিফোর্নিয়ার দাসত্ব সম্পর্কিত সমস্যা নিষ্পত্তি হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মুক্ত রাষ্ট্র বা দাস রাষ্ট্র হওয়া নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর উইলিয়াম এম গুইনের সমর্থকদের পরিচালিত একটি আন্দোলন ক্যালিফোর্নিয়াকে দুটি রাষ্ট্রে বিভক্ত করার চেষ্টা করে; একটি দাস এবং একটি মুক্ত। একই গ্রুপ ‘প্যাসিফিক কোস্ট প্রজাতন্ত্র’ত্রর প্রচারেরও চেষ্টা করেছিল। গৃহযুদ্ধের সূচনা হওয়ার পর ক্যালিফোর্নিয়া উত্তরের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধ সামগ্রী ও সৈন্য সরবরাহ করে।
যুদ্ধের পর গভর্নরের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ শতাব্দীর শেষাব্দি ডেমোক্র্যাটস এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে পালাবদল হতে থাকে। ১৮৭৬ সাল পরবর্তি রাজনৈতিক আবহাওয়ার বৈশিষ্ট ছিল শ্রম সমস্যা এবং রাষ্ট্রীয় তহবিলে পরিচালিত খনি, সেচ এবং ফল উৎপাদনের নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা। ১৮৭০ -এর দশকের অর্থনৈতিক মন্দা শ্রমিক ইউনিয়নগুলির মধ্যে বাড়তি অসন্তোষ সৃষ্টি করে যার অন্যতম ফল ছিল শ্বেতাংগদের তুলনায় কম মজুরীতে কাজ করা চীনা শ্রমিকদের বহিষ্কারের দাবি।
এই সময়ের সমস্যা ও অসন্তোষের ফলে সংস্কার অন্তর্ভুক্ত করে এবং চীনাদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করে ১৮৭৯ সালের সংবিধান তৈরি হয়। সে বছর মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক গৃহীত একটি বর্জন আইন রাষ্ট্রপতির ভেটো দ্বারা বাতিল হয়ে যায়। পরের বছর চীনের সাথে একটি চুক্তি দ্বারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা অভিবাসনের অনুমতি দেয়া হয়। পরবর্তিতে চাইনিজ ‘এক্সক্লুশন অ্যাক্ট’ দশ বছর পর্যন্ত চীনা অভিবাসন স্থগিত করে রাখে।
চীনাদের প্রতিস্থাপনের জন্য জাপানী কৃষক শ্রমিকদের আনা হলেও ১৯০৭ সালে জাপান ও আমেরিকার মধ্যে ‘জেন্টলম্যানের চুক্তি’ যুক্তরাষ্ট্রের আরও জাপানি অভিবাসন বন্ধ করে দেয়। জাপানীদের জমির মালিকানায় বাধা সৃষ্টির জন্য ডিজাইন করা ১৯১৩ সালের ‘ওয়েব এলিয়েন ল্যান্ড’ আইনটি ছিল জাপানবিরোধী লবিংয়ের চূড়ান্ত রুপ।
মহামন্দার প্রভাব (বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা যা ১৯২৯ সালে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল) ক্যালিফোর্নিয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত বিপর্যয়কর ছিল না। অন্যান্য অঞ্চল থেকে অভিবাসী খামারি শ্রমিকরা কাজের খোঁজে এই রাষ্ট্রে ছুটে আসে। এই পরিস্থিতি ব্যাপক সামাজিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি মন্দার যুগে শক্তিশালী হয়ে উঠে। ১৯৫৮ সালে ডেমোক্র্যাটিকদের বিজয় এডমন্ড ব্রাউনকে গভর্নর হিসাবে নিয়োগ করে। ১৯৬৬ সালে রিপাবলিকান রোনাল্ড রেগান, একজন প্রাক্তন অভিনেতা, যিনি ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বচিত হন, ব্রাউনকে প্রতিস্থাপন করেন। ১৯৬০ এর দশক থেকে এই রাষ্ট্রে ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান নেতৃত্বের পালাবদল হতে থাকে।
ইতিমধ্যে অর্থনীতির ক্রমান্নতি হয় এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অভ্যন্তরীণ উপত্যকায় কৃষিকাজ এবং শহরগুলিতে শিল্পের প্রসার ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিমানের কারখানা এবং শিপইয়ার্ডগুলি প্রসারিত হয়। ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে পশ্চিম উপকূলে অস্বাভাবিক হারে বিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদসহ মানুষের যাতায়াত শুরু হলে এই অঞ্চলে দ্রুত গবেষনা ও শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে উঠে।
১৯৭০ এবং ‘৮০ এর দশকে জনসংখ্যা স্থানান্তর ছিল লক্ষনীয়। নতুন নগর কেন্দ্রের উত্থান ঘটে এবং ছোট শহরগুলির দ্রুততম উন্নতির হার পরিলক্ষিত হয়। এক শতাব্দী ধরে সান ফ্রান্সিসকো ছিল রাষ্ট্রের আর্থিক এবং কর্পোরেট কেন্দ্র, তবে বেশিরভাগ বড় কর্পোরেশনগুলি ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে তাদের সদর দফতর আরও বেশি জনবহুল দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানান্তরিত করে।
ক্যালিফোর্নিয়ার জনসংখ্যা ১৯৮০ এর দশকে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। জনসংখ্যার উত্থানের সাথে সাথে জাতীয় অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয় ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে মার্কিন সরকার রাষ্ট্রের ব্যায়বহুল মহাকাশ এবং সামরিক চুক্তি শিল্পকে সঙ্কুচিত করার মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ব্যয় হ্রাস করে। একই সময়ে ক্যালিফোর্নিয়া একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ-বন্যা, অগ্নিকাণ্ড, খরা এবং ভূমিকম্প দ্বারা জর্জরিত হয় – যা স্বর্ণের রাজ্যের আকর্ষণ হ্রাস করতে ভূমিকা রেখেছিল।
ক্যালিফোর্নিয়ার জাতিগত ও বর্ণগত বৈচিত্র্যের কারণে মাঝে মাঝে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে অস্বস্তিকর সম্পর্কের সৃষ্টি হত। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ও শেষের দিকে রাষ্ট্রে বর্ণ ভিত্তিক বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং আফ্রিকান আমেরিকানদের মধ্যে উত্তেজনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শহরগুলিতে বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য সহিংস দাঙ্গার জন্ম দেয়। ক্যালিফোর্নিয়া ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টিরও কেন্দ্র ছিল। এই দলটি আফ্রিকান আমেরিকানদেরকে জাতিগত অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য পরিচিত ছিল। এছাড়াও মেক্সিকান, ফিলিপিনো এবং অন্যান্য অভিবাসী খামার শ্রমিকরা ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে উত্তম বেতনের জন্য সিজার চাভেজের আশেপাশে সমাবেশ করে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় অভিবাসন করে আসা বিপুল সংখ্যক হিস্পানিকদের অবস্থান প্রায়শই অবহেলিত ছিল; অনেকে অল্প বেতনের জন্য কঠোর শর্তে কাজ করছিল এবং অন্যরা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী। ক্যালিফোর্নিয়ায় অবৈধ অভিবাসন বিষয়টির বিশেষ গুরুত্ব ছিল; ১৯৯৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ানরা অবৈধ অভিবাসীদের সামাজিক পরিষেবাগুলি প্রদান না করার জন্য একটি ব্যালট উদ্যোগ (প্রস্তাব ১৮৭) অনুমোদন করে (পরে ফেডারেল আদালত কর্তৃক বাতিল হয়ে যায়)। রাজ্যে হিস্পানিকদের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক শক্তি কখনও কখনও আফ্রিকান আমেরিকানদের সাথে তাদের মতবিরোধ সৃষ্টি করে।
বিংশ শতাব্দীতে ক্যালিফোর্নিয়ায় দুটি বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছিল। ১৯০৬ সালের সান ফ্রান্সিসকো ভূমিকম্প এবং ১৯২৮ সালের সেন্ট ফ্রান্সিস বাঁধের বন্যা মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থানে রয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে রাষ্ট্রে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী খরা এবং ঘন ঘন দাবানলের ঘটনা ঘটে। ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত অবিরাম খরা ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে রেকর্ড। ২০১৮ সালের দাবানলের মৌসুমটি ছিল রাষ্ট্রের সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক।
১ জুলাই ২০২০ ক্যালিফোর্নিয়ার আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ৩৯,৩৬৮,০৭৮, এটা ছিল ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারির পর থেকে ৫.৬৭% বৃদ্ধি। ম্যানহাটান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি রিসার্চ অনুসারে ১৯৯০ সাল থেকে প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন ক্যালিফোর্নিয়ান অন্যান্য রাষ্ট্রে চলে গিয়েছে। এদের অধিকাংশ গিয়েছে টেক্সাস, নেভাদা এবং অ্যারিজোনায়।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরো অনুসারে ২০১৮ সালে জনসংখ্যার বিভাজন নিম্নরুপঃ
৭২.১% শ্বেতাংগ (হিস্পানিক শ্বেতাংগ সহ), ৩৬.৮% অ-হিস্পানিক শ্বেতাংগ, ১৫.৩ এশিয়ান, ৬.৫% কৃষাংগ বা আফ্রিকান আমেরিকান, ১.৬% আমেরিকান আদিবাসী এবং আলাস্কার আদিবাসী, ০.৫% হাওয়াইয়ান আদিবাসী বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসী।
ক্যালিফোর্নিয়ার সরকারী মাধ্যমিক পরবর্তি শিক্ষায় তিনটি পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে:
রাজ্যের গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাটি হল ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউসি), একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি (সিএসইউ) ব্যবস্থায় প্রায় ৪৩০,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার কমিউনিটি কলেজগুলি নিম্ন বিভাগের কোর্সের পাশাপাশি মৌলিক দক্ষতা এবং কর্মশক্তি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অর্থনীতি এবং ১৯৯৭ সালে মোট উৎপাদনে ট্রিলিয়ন-ডলারের মাপদণ্ডে পৌঁছার প্রথম রাষ্ট্র ছিল। ২০১২ সালে ক্যালিফোর্নিয়াকে বিশ্বের নবম বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান দেয়া হয়। ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতি বছর ৫৪০,০০০ একরেরও বেশি জমিতে ৩.৩ মিলিয়ন টন ওয়াইন আংগুর উৎপন্ন হয় এবং এই রাষ্ট্র সমস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০ শতাংশ ওয়াইন উৎপাদন করে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মসংস্থানের পাঁচটি বৃহত্তম খাত হ’ল বাণিজ্য, পরিবহন এবং ইউটিলিটি; সরকারী; পেশাদার এবং ব্যবসায়িক সেবা; শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা; এবং অবসর ও আতিথেয়তা।
এক নজরে ক্যালিফোর্নিয়া
ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্তি : ৯ সেপ্টেম্বর ১৮৫০
রাজধানী : স্যাক্রামেন্টো
বৃহত্তম শহর : লস অ্যাঞ্জেলেস
সরকার
গভর্নর : গ্যাভিন নিউজম (ডেমোক্রেট)
লেফটেন্যান্ট গভর্নর : এলেনী কাউনালাকিস (ডেমোক্রেট)
আইনসভা : রাজ্য আইনসভা
উচ্চ কক্ষ : রাজ্য সিনেট
নিম্নকক্ষ : রাজ্য বিধানসভা
বিচার বিভাগ : ক্যালিফোর্নিয়ার সুপ্রিম কোর্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর : ডায়ান ফেনস্টাইন (ডেমোক্রেট), অ্যালেক্স প্যাডিলা (ডেমোক্রেট)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ প্রতিনিধি : ৪২ জন ডেমোক্র্যাট; ১১ জন রিপাবলিকান
আয়তন
মোট : ১৬৩,৬৯৬ বর্গ মাইল (৪২৩,৯৭০ বর্গ কিঃমিঃ)
স্থলভাগ : ১৫৫,৯৫৯ বর্গ মাইল (৪০৩,৯৩২ বর্গ কিঃমিঃ)
জলভাগ : ৭,৭৩৭ বর্গ মাইল (২০,০৪৭ বর্গ কিঃমিঃ)
সর্বোচ্চ উচ্চতা (মাউন্ট হুইটনি) : ১৪,৫০৫ ফুট (৪,৪২১ মিঃ)
সর্বনিম্ন উচ্চতা (ব্যাডওয়াটার বেসিন) : ২৭৯ ফুট (−৮৫ মিঃ)
জনসংখ্যা (২০২০)
মোট : ৩৯,৫৩৮,২২৩
মাঝারি পরিবারের আয় : ৭১,২২৮ ডলার
ভাষা
সরকারী ভাষা : ইংরেজি
কথ্য ভাষা : ইংরেজি-৫৮.১%; স্প্যানিশ-২৮.৮%; অন্যান্য-১৩.১%
সময় অঞ্চল
ইউটিসি (−) ০৮:০০ (পিএসটি)
গ্রীষ্ম : ইউটিসি (−) ০৭:০০ (পিডিটি)
ইউএসপিএস (USPS) সংক্ষেপ : সিএ (CA)
ডাক নাম : গোল্ডেন স্টেট; ল্যান্ড অফ মিল্ক এন্ড হানি; এল দোরাদো স্টেট; দি গ্রেপ স্টেট
গাছ : ক্যালিফোর্নিয়া রেডউড
ফুল : পপি
পাখি : ক্যালিফোর্নিয়া ভ্যালি কোয়েল