গত ৯ সেপ্টেম্বর ম্যান্ডেলা মার্কেটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্কের বাফেলোতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বিভেদ ও উত্তেজনা নিরসনের লক্ষ্যে এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ দিন ধরে চলমান এই বিরোধ নিরসন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, “আমাদের কমিউনিটি আমাদের গর্ব। যে কোনো সংকট সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও একসঙ্গে থাকার মাধ্যমে মোকাবিলা করা সম্ভব।” ম্যান্ডেলা গ্যাস স্টেশনে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকানের কর্মচারী ও মালিকপক্ষের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির ধারাবাহিক বিক্ষোভ পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলে। বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগে তারা বাংলাদেশিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ ও বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রকল্প বন্ধের দাবিও জানান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বাফেলো ট্রেড সেন্টারের স্বত্বাধিকারী খালিদ আলির উদ্যোগে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সিটি কাউন্সিলম্যান, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় আমেরিকান সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়, একতরফা পদক্ষেপে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়, বরং সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হতে পারে সমাধানের পথ। কমিউনিটির নেতারা জোর দিয়ে বলেন, “আফ্রিকান আমেরিকান, আরব বা বাংলাদেশি—যে-ই হোক, সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য। ঝগড়া-বিবাদ সমাজকে বিভক্ত করে, কিন্তু ঐক্য ও সৌহার্দ্য মিলে মিশে থাকার প্রেরণা জোগায়।” বর্তমান পরিস্থিতি সমাধানের লক্ষ্যে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৬টায় ৯৭ ডোয়াট স্ট্রিটে একটি উন্মুক্ত বৈঠকের আয়োজন করা হবে। সেখানে বাংলাদেশি ও কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির প্রতিনিধি একত্রিত হয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করবেন। \
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ কেবল একটি বৈঠক নয়; বরং বাফেলোর সকল নাগরিকের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার দৃঢ় পদক্ষেপ। বাংলাদেশি কমিউনিটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, এই ধরনের গঠনমূলক সংলাপ ভবিষ্যতে দুই কমিউনিটির সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও ইতিবাচক করবে।