বাফেলো সিটি মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি নির্বাচনে এক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হাড্ডাহাড্ডি হলেও শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন শন রায়ান। এই বিজয়ে তিনি ১১.২৬ শতাংশ ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন মেয়র ক্রিস স্ক্যানলনসহ চার প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন।
বিজয়ের পর রায়ান জানান, এই ফলাফলের মাধ্যমে তিনি শুধু স্বস্তিই পাননি, বরং বাফেলোর মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতাও অনুভব করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আনন্দিত যে বাফেলোর প্রতিটি অঞ্চল — ওয়েস্ট সাইড, মাস্টেন, নর্থ বাফেলো, ব্ল্যাক রক থেকে আমার জন্য জনসমর্থন এসেছে। এটা grassroots সমর্থনের প্রকৃত বহিঃপ্রকাশ।” তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে একটি সাধারণ অনুভূতি ছিল যে, শহরের সেবা খাতগুলো অনেকদিন ধরেই অবনতি হচ্ছে, এবং তার বাইরের পরিচিতি — রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা, তাকে শহরের সমস্যাগুলো থেকে আলাদা রেখেছে। রায়ান বলেন, “আমি এই সমস্যাগুলোর অংশ ছিলাম না, বরং আমি সমাধান দিতে এসেছি,”।
শন রায়ান তার দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমি বেসরকারি ও এনজিও খাতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছি, পরে এসেম্বলিতে, তারপর সিনেটে। এখন সেই অভিজ্ঞতা আমি বাফেলোর মেয়র হিসেবে কাজে লাগাতে চাই। স্টেট সরকারের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা আমাকে জানায় কিভাবে শহরগুলো স্টেট থেকে সাহায্য চাইতে পারে এবং সে অনুরোধে কীভাবে সাড়া মেলে।” তিনি ঘর নির্মাণ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা স্টেটে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সেগুলোকে ‘City of Good Neighborhood’ উদ্যোগের মাধ্যমে বিস্তৃত করব, যাতে শত শত নতুন ঘর নির্মাণ করে বাফেলো এবং আপস্টেট শহরগুলোকে শক্তিশালী করা যায়।” রায়ান মনে করেন, বাফেলোর প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে বাস্তব সমস্যাগুলো অস্বীকার করে আসছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে মানুষের সাড়া প্রমাণ করে দিয়েছে তারা আর আগের মতো চুপচাপ বসে নেই। তিনি বলেন, “আমি যখন মানুষের দরজায় গিয়ে সমস্যা নিয়ে কথা বলতাম, তারা বলত — ‘আমরা তো এটা অনেকদিন ধরেই জানি, যদি তুমি এই সমস্যাগুলো ঠিক করতে পারো, তাহলে তোমাকেই ভোট দেব।’ এই বার্তাই আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে।”
নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি জানান, তার প্রচারে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না। শেষে তিনি জানান, নির্বাচনের পর প্রথম দিনটা পরিবার ও নিজের যত্নে কাটাবেন — ফোন বন্ধ করে স্ত্রী-কন্যাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে। এরপর আবার প্রচারযুদ্ধে নামবেন। “বাফেলো শহরের মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার বিকল্প নেই। কারণ রাস্তাই সত্য বলে।”