ভারতের ওপর চাপ বাড়ালেন ট্রাম্প, মোট শুল্কহার ৫০ শতাংশ

রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর শুল্কের চাপ বাড়ালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক নির্বাহী আদেশে তিনি ঘোষণা দেন, ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে, যা আগের হারসহ মোট ৫০ শতাংশে পৌঁছাবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্কগুলোর একটি।

হোয়াইট হাউস জানায়, এই নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে এই আদেশ জারির ২১ দিন পর থেকে, রাত ১২টা ১ মিনিটে (EDT) বা তার পরে যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে কিংবা গুদাম থেকে ছাড় করা হবে, সেসবের ওপর প্রযোজ্য হবে।

ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, রুশ তেল আমদানির মাধ্যমে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতির প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে তুলছে।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,

“রাশিয়া থেকে তেল কিনে এবং তা পুনরায় বাজারে বিক্রি করে ভারত পরোক্ষভাবে রুশ অর্থনীতিকে সমর্থন দিচ্ছে, যা ইউক্রেনে আগ্রাসনের অর্থনৈতিক জোগান নিশ্চিত করছে। এই শুল্ক আরোপের লক্ষ্য হলো—যেসব দেশ রুশ অর্থনীতিকে সমর্থন করতে চায় না, তাদের নিরুৎসাহিত করা।”

এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো সফর করছেন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার লক্ষ্যে

এদিকে, নয়াদিল্লি এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকিকে ‘অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধির জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেন,

“যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই ভারতকে রুশ তেল আমদানির জন্য উৎসাহ দিয়েছিল, যাতে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার স্থিতিশীল থাকে।”
তিনি আরও জানান,
“যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপে তেলের প্রচলিত সরবরাহ স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ায় ভারত বাধ্য হয়ে বিকল্প উৎস হিসেবে রাশিয়ার দিকেই ঝুঁকেছিল।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন উত্তেজনার সূচনা করতে পারে, বিশেষত এমন সময় যখন বিশ্বজুড়ে জ্বালানি বাজার ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল রয়েছে।

 

Related posts

স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু

৪৫ তলার সমান উঁচু থেকে বাঞ্জি জাম্পিং করলেন ড. জাকির নায়েক

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে কানাডা, মেক্সিকো ও চীন