চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে যখন তিন দেশের শীর্ষ নেতা অংশ নেন, তখনই ট্রাম্প এ অভিযোগ আনেন।
নিজের ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, “ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উনকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাই, কারণ আপনারা আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।” তাঁর এই মন্তব্য নতুন করে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ার সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মহামঞ্চে পরিণত হয়। কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি প্রথমে চীনের বীর যোদ্ধাদের অভিবাদন জানান, পরে ভাষণে বলেন, “চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অটল থাকবে। মানবজাতি আজ সঙ্কটময় সময়ে দাঁড়িয়ে আছে, আর চীন বিশ্বের সঙ্গে মিলেই অভিন্ন ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।”
কুচকাওয়াজে প্রায় ১০ হাজার সেনা অংশ নেয়। প্রদর্শিত হয় আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র, ট্যাংক, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, স্টেলথ ফাইটার জেট এবং পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ডিএফ-৫ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি চীনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রতীক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে শি জিনপিং স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে চীন এখন একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্বশক্তি। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়ান চং মন্তব্য করেন, “চীন বিশ্বশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, আর যুক্তরাষ্ট্রসহ কারও চাপ তাদের বিচলিত করতে পারবে না।”
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বেইজিংয়ের এই সামরিক প্রদর্শনী কেবল শক্তি দেখানো নয়; বরং বিশ্বরাজনীতায় চীনের অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠার কৌশলও বটে।