গাজার ওপর ইসরাইলের অব্যাহত হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির জন্য ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। গত শনিবার গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের হামলায় ভোরে আল ঘৌলা নামক একটি পরিবারের বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ আইয়ানের তথ্যমতে, এই হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। পৃথক আরেকটি হামলায় একই পরিবারের আরও পাঁচ সদস্য নিহত হন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ জনের বেশি আটকা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া জাবালিয়া এবং দেইর আল বালাহ এলাকায় ইসরাইলি হামলায় ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় মোট ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এই বর্বর হামলার মধ্যেই ইসরাইলের জন্য ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন কংগ্রেসকে ইতোমধ্যেই বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এক কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানায়, এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা হেলফায়ার এজিএম-১১৪ নামে পরিচিত, এবং ৫০০ পাউন্ড ওজনের ওয়ারহেড আর্টিলারি শেল।
যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করতেই এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ শুরুর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে বড় অঙ্কের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে মানবিক বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত করেছে।
ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেও গাজার সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। তবে ইসরাইলি হামলা বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিক অস্ত্র সহায়তা হামলাগুলোকে আরও তীব্র করছে।