ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর, এফবিআই প্রতিনিধিদল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে এই বিষয়ে বিপুল নথি হস্তান্তর করে।
১ অক্টোবর, একটি ইউরোপীয় প্রতিনিধিদল দুদকের সাথে বৈঠক করে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়। দুদক ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ দুদক মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি দুদকের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, নয়টি প্রকল্প থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকেই ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন।
এফবিআই জানিয়েছে, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রথম প্রকাশিত হয়। জয়ের নামে হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের শেল কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
২০২৩ সালের শেষে প্রকাশিত এক শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ তহবিল প্রবাহের ফল। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তথ্যগুলো যাচাই চলছে এবং ভবিষ্যতে আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হবে।