এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে রয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে ঐক্যফ্রন্ট জোট করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে একদফা শর্ত দিয়েছে দলটি। নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দেখেছি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হতে পারেনি। কারণ এটা একটা জবরদস্তিমূলক দখলদার সরকার। সব নির্বাচনকে তারা তাদের মতো করে পরিচালনা করেছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একটা বশংবদ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে নিজের মতো করে নির্বাচন করেছে। এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। দেশে-বিদেশে এই নির্বাচনকে প্রতারণার নির্বাচন বলা হয়েছে। জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব এখানে নেই।
বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিবাদী উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে এই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এদেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র অবশিষ্ট নেই। বিরোধী দল তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো ডেমোক্রেটিক স্পেস পাচ্ছে না। যার ফলে শুধু বিএনপিই নয়, সব রাজনৈতিক দলই একটা দুর্বিসহ সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আপাতত আমরা দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না।
ফখরুল এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের বাবার কুলখানি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।