সাইফ সোহেল বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ছকিনা গ্রামে ভাতিজির হাতে চাচার লিঙ্গ কেটে ফেলার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিশেষ অঙ্গ হারানো ওই ব্যক্তির নাম কবির হোসেন। তিনি একই এলাকার পাঞ্জু হালদারের ছেলে। কবির দুই সন্তানের বাবা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, একই গ্রামের দুরসম্পর্কিত ভাতিজিকে কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন কবির। বৃহস্পতিবার রাতে ভাতিজির বাড়িতে তাকে একা পেয়ে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিলে কবিরের ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে ফেলে মেয়েটি। মেয়েটির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে জানা গেছে, কবির সম্পর্কে চাচা হলেও ইতোপূর্বে তার বড় দুই বোনকে উত্ত্যক্ত করতেন। বৃহস্পতিবার তার বাবা ও মা পাশেই শুঁটকি শুকানোর কাজে গেলে সেই সুযোগে ঘরে ঢুকে কবির তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে হাত দিলে পাশে থাকা দাও দিয়ে তার ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে দেয়া হয়। স্থানীয়রা কবিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠান। তবে উত্ত্যক্তের অভিযোগ অস্বীকার করে কবির বলেন, ওই মেয়েদের বাড়ির পাশে তার মাছের ঘের রয়েছে। মাছ চুরি হয় বিধায় পাহারা দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় দুটি ছেলে দেখে তাদের পিছু নিয়ে ওই বাড়ির কাছে গেলে তারা আমাকে ধরে নিয়ে মারধর করে এবং আমার ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে ফেলে। তালতলী থানার ওসি কালাম খান জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।