গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা যোবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ময়দান ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতরা হলেন: আমিনুল হক (৭০), বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে, বাচ্চু মিয়া (৭০), একই এলাকার বাসিন্দা, বেলাল (৬০), বাড়ি ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদে, তাজুল ইসলাম (৬৫), বাড়ি বগুড়ায়। আহতদের টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজ হয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় যোবায়েরপন্থীরা তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরুব্বী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, “আমরা এখন ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে আছি। যোবায়েরপন্থীদের আক্রমণে আমাদের এক ভাই শহীদ হয়েছেন।”
অন্যদিকে যোবায়েরপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, “সাদপন্থীরা শেষ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।”
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ডা. নাজমুল করিম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “১৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানসহ তিন কিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।”
এই আদেশ অনুযায়ী:
- জনসাধারণের ময়দানে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
- দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা বা জমায়েত করতে পারবেন না।
- কোনো প্রকার অস্ত্র, লাঠি বা বিস্ফোরক বহন নিষিদ্ধ।
- লাউডস্পিকার বা উচ্চস্বরে শব্দ করা যাবে না।
সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।