ফাইনালেও সেঞ্চুরির ঝলক, সব পুরস্কারই তুলে নিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স

দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স আবারও প্রমাণ করলেন কেন তাঁকে আধুনিক ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলা হয়। ৪১ বছর বয়সেও ব্যাট হাতে যেভাবে দাপট দেখালেন, তা দেখে দক্ষিণ আফ্রিকান সমর্থকদের হৃদয়ে হয়তো আবারও হাহাকার জেগে উঠবে—এমন একজন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কিছু বছর খেললে কত কিছুই না দিতে পারতেন দেশকে।

ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লুসিএল)-এর ফাইনালে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে ডি ভিলিয়ার্স খেলেছেন এক অনন্য ইনিংস। মাত্র ৬০ বলে অপরাজিত ১২০ রান করে দলকে এনে দিয়েছেন স্বপ্নের শিরোপা। তাঁর সেঞ্চুরি আসে মাত্র ৪৭ বলে, যাতে ছিল ১২টি চার ও ৭টি বিশাল ছক্কার মার। এই ইনিংস শুধু ফাইনালেই নয়, গোটা টুর্নামেন্টেরই অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।

এই টুর্নামেন্টে আগে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ফাইনালে এসে সেই ফর্মকেই পরিণতিতে রূপ দিলেন দুর্দান্ত এক ইনিংসের মাধ্যমে। তাঁর এমন পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস তো ট্রফি ঘরে তুলেছেই, সেই সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবেও এক রকম সব পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

ফাইনালের ‘ম্যান অব দ্য ফাইনাল’ তো হয়েছেই, তার সঙ্গে জিতেছেন ‘মাস্টার ব্লাস্টার অব দ্য ম্যাচ’, ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’, এবং ‘গেম চেঞ্জার অব দ্য ম্যাচ’ শিরোপাও। এক ম্যাচে এককভাবে চারটি পুরস্কার জেতা ডি ভিলিয়ার্সকে ঘিরে গোটা ক্রিকেট দুনিয়াই যেন আবারও মুগ্ধ।

ফাইনালের একমাত্র পুরস্কার যা তাঁর হাতে ওঠেনি, সেটি হলো ‘ফ্যান ফ্যাভারিট লিজেন্ড’, যা পেয়েছেন পাকিস্তানের শারজিল খান। তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে সর্বোচ্চ ৪৩১ রান ও তিনটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ডি ভিলিয়ার্সের হাতেই উঠেছে ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ ট্রফি।

চ্যাম্পিয়ন দল দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ২ লাখ মার্কিন ডলার, আর রানার্সআপ পাকিস্তান পেয়েছে ১ লাখ মার্কিন ডলার। পুরো টুর্নামেন্টেই ক্রিকেট রোমাঞ্চ ছড়ালেও শেষ হাসি হেসেছেন ডি ভিলিয়ার্স—ব্যক্তিগত ও দলীয় উভয় ক্ষেত্রেই। তাঁর এই অনবদ্য পারফরম্যান্স দীর্ঘদিন স্মরণে রাখবে ক্রিকেট বিশ্ব।

Related posts

বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল

একের পর এক গোল মিস, ভারতকে হারানোর সুযোগ হাতছাড়া

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ