ইরি কাউন্টিতে মঙ্গলবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা ব্যাপক জয় পেয়েছে। প্রায় সবগুলো আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়ে তারা রিপাবলিকানদের একপ্রকার হতবাক করেছে। ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর এখন দুই দলের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন—কেন এমন ফল হলো এবং এর ইঙ্গিত কী হতে পারে আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে।
ইরি কাউন্টি ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি হলেও এবারের ফলাফলে তাদের প্রভাব আরও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। রিপাবলিকানরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে জয়ের আশা করলেও বাস্তবে তা অর্জন করতে পারেনি।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাক্তন চেয়ারম্যান লেন লেনিহান মনে করেন, দৈনকদিন জীবনের ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মূল্যস্ফীতি কমানোর প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়াই এই ফলাফলের মূল কারণ।
তিনি বলেন, “ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর প্রথম দিন থেকেই খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু বাস্তবে আমরা এখন দেখছি—সবকিছুর দাম আরও বেড়েছে।”
লেনিহান আরও করেন, “এটি আসলে আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মঙ্গলবার ছিল ডেমোক্র্যাটদের জন্য একটি দুর্দান্ত রাত—একটি পূর্ণ জয়।”
রিপাবলিকানদের বিশেষ প্রত্যাশার দৌড় ছিল অ্যামহার্স্ট সুপারভাইজর আসনে। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ডেপুটি সুপারভাইজর শন ল্যাভিন ৫২.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে রিপাবলিকান ব্যবসায়ী প্রার্থী ড্যান গাগলিয়ার্দো-কে পরাজিত করেন।
তবে রিপাবলিকানরা সম্পূর্ণ হতাশ নন। অ্যামহার্স্ট রিপাবলিকান কমিটির চেয়ারম্যান বব ডেভিস বলেন, “আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েছি। এই এলাকার রাজনৈতিক উচ্ছ্বাস এখন গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও প্রাক্তন ডেপুটি কাউন্টি এক্সিকিউটিভ কার্ল ক্যালাব্রেসের মতে, রিপাবলিকানদের অন্যতম দুর্বলতা হলো ভোটার নিবন্ধন। “ইরি কাউন্টিতে রিপাবলিকান ভোটার সংখ্যা কমে ১ লাখ ৩৫ হাজারে নেমে এসেছে, যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ,” তিনি বলেন। “দলকে এখনই নতুন ভোটার নিবন্ধন ও ভোটারদের উৎসাহিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রিপাবলিকানদের মূল ব্যর্থতা ছিল মাঠপর্যায়ের প্রচারণা এবং সংগঠিত তৃণমূল কার্যক্রমের অভাব। ভোটার নিবন্ধন ও দলীয় বিস্তার না ঘটাতে পারায় তারা পিছিয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা মনে করছে, এই জয়ের গতি ধরে রেখে তারা আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে আরও শক্ত অবস্থানে যেতে পারবে। রিপাবলিকানদের মতে, এবারের ফলাফল তাদের জন্য সতর্কবার্তা—ভোটারদের সংগঠিত না করলে আগামী বছরও পরিস্থিতি বদলাবে না।