দেশবাণী ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থায় থাকা সম্পর্ক ফেরানোর চেষ্টায় আলোচনা সম্প্রসারণে সম্মত হয়েছে।দু’দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা কমাতে বেইজিংয়ে ব্যতিক্রমী সফরে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীনা কর্মকর্তাদের সাথে তার বৈঠককে খোলামেলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ব্লিঙ্কেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। ধারণার চেয়ে তারা এক ঘণ্টা বেশি সময় কথা বলেন এবং নৈশভোজে অংশ নেন।
উভয়দেশ থেকে বলা হয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুইন গ্যাং ওয়াশিংটনে পরে কোনো এক তারিখে ফিরতি সফরে যেতে সম্মত হয়েছেন। এছাড়া উভয়ে দু’দেশের মধ্যে ফ্লাইট বাড়ানোর বিষয়েও একযোগে কাজ করবেন যা করোনা মহামারিকাল থেকে নূন্যতম পর্যায়ে নেমে এসেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার উভয়ের আলোচনাকে খোলামেলা, মৌলিক ও গঠনমূলক বর্ণনা করে বলেছেন, ভুল বুঝাবুঝি ও ভুল ধারণার ঝুঁকি কমাতে ব্লিঙ্কেন কূটনীতি ও উন্মুক্ত যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং নভেম্বরে বালিতে যে বৈঠক করেন সেখানে ব্লিঙ্কেনকে বেইজিংয়ে পাঠানোসহ দুই দেশের মধ্যকার তীব্র উত্তেজনা বন্ধের চেষ্টার বিষয়ে উভয়ে সম্মত হয়েছিলেন।
ফেব্রুয়ারি মাসেই ব্লিঙ্কেকেনের চীন যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্দেহজনক নজরদারি বেলুন নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কটের কারণে সে সময়ে সফর বাতিল করা হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, তাদের আকাশে তারা চীনা নজরদারি বেলনু সনাক্ত এবং পরে এটিকে ভূপাতিত করেছে।
এ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং আকস্মিকভাবে ব্লিঙ্কেন তার চীন সফর বাতিল করেন। পরে ১৮ জুন নতুন করে ব্লিঙ্কেকেনের চীন সফরের তারিখ নির্ধারিত হয়।
ব্লিঙ্কেকেনের পূর্বসুরি মাইক পম্পেও ২০১৮ সালে চীন সফর করেছিলেন। এরপর প্রথম মার্কিন কোনো শীর্ষ কূটনৈতিক বেইজিং সফরে এলো।