ঢাকা প্রতিনিধি
বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ব্রিকসে যোগ দিতে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের সদস্য পদ চূড়ান্ত হতে পারে।
ব্রিকসে যোগ দিলে বাংলাদেশ বেশ কিছু সুবিধা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুবিধাগুলো হলো:
১. ব্রিকস জোটের সদস্য হওয়ার পর বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাবে। এ ক্ষেত্রে ঋণের সুদের হারও কম হবে।
২. ব্রিকস জোটের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক বাড়বে। এ ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।
৩. ব্রিকস জোটে যোগ দিলে বৈশ্বিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত হবে।
৪. ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভবিষ্যতে বিকল্প মুদ্রা বা বিকল্প বাণিজ্যিক ব্যবস্থা চালু করলে এ ক্ষেত্রে সুবিধা নিতে পারবে বাংলাদেশ।
৫. ব্রিকস ভবিষ্যতে আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বড় আকারের ঋণ সুবিধা পেতে পারে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ব্রিকসে যোগ দেওয়া আমাদের অর্থায়নের আরেকটি ক্ষেত্র হবে। আমাদের তো টাকা পয়সা দরকার। সেদিক থেকে এটা ভালো হবে।
গত ১৪ জুন জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মধ্যে একটি বৈঠকে ব্রিকসে যোগদানের বিষয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য পদ লাভ করতে চলেছে।
ব্রিকস জোটে যোগদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনও করেছে। তবে আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় শীর্ষ সম্মেলনেই বাংলাদেশের সদস্য পদ চূড়ান্ত হবে। বর্তমানে ব্রিকসের সদস্য ৫টি দেশ হলেও তারা আগামীতে আরও ৮টি দেশকে সদস্য করবে। বাংলাদেশ, সৌদি আরব, ইউনাইটেড আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া এই জোটের সদস্য হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীনকে নিয়ে গঠিত হয় ব্রিক। পরে ২০১০ সালে যোগ দেয় সাউথ আফ্রিকা। তখন নাম হয় ব্রিকস। ২০১৫ সালে ব্রিকস ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়।