চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১অক্টোবর) দুপুরে শহরের বড়বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভোক্তার চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহাম্মেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে জরিমানা করা হয়। চার প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহাম্মেদ অভিযানে মুদি দোকান, মাছ-মাংস বাজার, মুরগী বাজার, সবজি ও পেঁয়াজসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন। এসময় মেসার্স লক্ষ্মী স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও অস্বাস্থ্যকরভাবে খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক শ্রী মধুসূদন সাধু খা’কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৩ ধারায় ৩ হাজার টাকা, মেসার্স মুক্তি স্টোরের মালিক শ্রী মুক্তি সাধু খা’কে পণ্যের মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে মাছ বাজারে মেসার্স রিদওয়ান ফিসের মালিক ফারুক হোসেনকে আগেও অনেকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মাছের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মুরগী বাজারে মেসার্স খালেক মুরগী হাউজের মালিক আব্দুল খালেককে আগেও সতর্ক করা সত্ত্বেও মুরগির ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা ও অতিরিক্ত লাভে মুরগি বিক্রয়ের অপরাধে সতর্কতামূলক ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, কৃষি বিপণন কার্যালয়ের কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও ফাহিম উদ্দিন মভিন, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি, ভাউচার সংরক্ষণ ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। এসময় বাজার কমিটির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করা হয়।