সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট আপাতত পরিবর্তন হচ্ছে না। ট্রেন দুটি বর্তমান রুট দিয়েই চলাচল করবে। এদিকে, ওই দুটি ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন বিক্ষোভ করেছেন চুয়াডাঙ্গাবাসী। গতকাল সোমবার সকালে রেলওয়ে স্টেশনে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এরপর দুপুরে গতকাল সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তন হবে না বলেন জানান রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে বিক্ষোভের সময় ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১০ মিনিট আটকে রাখা হয়। এরপর বেলা ১২টা ১০ মিনিটের দিকে বিক্ষোভকারীরা রেললাইন থেকে সরে গেলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সাকিব বিশ^াস বলেন, খুলনা থেকে ঢাকাগামী ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ এবং বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে অন্য রুটে চলাচল করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই দুটি ট্রেন থেকে আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। তারা দাবি করেন, অবিলম্বে এই রুটে দুটি ট্রেন সরিয়ে অন্যরুটে না দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।
পরে রাজবাড়ী জেলার জেলা প্রশাসক বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানকার রাজনৈতিক অবস্থা ও মানুষের চাহিদার কথা আমি তার কাছে তুলে ধরেছি। আমি বলেছি, যেহেতু এই ট্রেন এই রুটে চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনের সুবিধায় মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেছে, মানুষ এই সুবিধাকে উপভোগ করছে। একই ধরনের বিকল্প সুবিধার ব্যবস্থা না করে এই ট্রেন কীভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন যে, আপাতত তারা এই ট্রেন দুটি বন্ধ করবেন না। অবশ্যই বিকল্প সুবিধার ব্যবস্থা করে তারা ট্রেনের রুট পরিবর্তনের পরিকল্পনা করবেন।