Monday, December 23, 2024
Homeইমিগ্রেশনজার্মানির অপরচুনিটি কার্ড: কাজ ও বসবাসের নতুন সুযোগ

জার্মানির অপরচুনিটি কার্ড: কাজ ও বসবাসের নতুন সুযোগ

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে কাজ ও অবকাশের ভারসাম্য রক্ষায় শীর্ষে রয়েছে জার্মানি। দেশটির কর্মজীবীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা এবং ন্যূনতম পারিশ্রমিক হার অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশি কর্মীদের জন্যও রয়েছে সম্ভাবনার দিগন্ত, যার সম্প্রসারণ ঘটেছে অপরচুনিটি কার্ডের প্রণয়নের মাধ্যমে।

অপরচুনিটি কার্ড কী?

অপরচুনিটি কার্ড হলো জার্মানির একটি রেসিডেন্ট পারমিট, যা ইইউ, ইইএ, বা সুইজারল্যান্ডের বাইরে থেকে দক্ষ কর্মীদের জার্মানিতে চাকরির উদ্দেশ্যে প্রবেশের সুযোগ দেয়। এর মেয়াদ থাকে এক বছর এবং এই সময়ের মধ্যে কার্ডধারীকে চাকরি খুঁজে নিতে হয়। প্রার্থীর জার্মানি স্বীকৃত শিক্ষাগত বা পেশাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

অপরচুনিটি কার্ড কাদের জন্য?

এই কার্ড প্রধানত দুটি ধরণের প্রার্থীদের জন্য:

১. জার্মানি স্বীকৃত পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন: যাঁদের জার্মানি স্বীকৃত ডিগ্রি বা ট্রেনিং রয়েছে।
২. সাধারণ দক্ষ কর্মী: যারা জার্মানির কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন অথবা জার্মানি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন। এছাড়া, প্রার্থীর A1 লেভেলের জার্মান ভাষার দক্ষতা বা B2 লেভেলের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকা উচিত।

পয়েন্ট সিস্টেম

দ্বিতীয় ক্যাটাগরির জন্য নির্ধারিত শর্তগুলো মূল্যায়ন করতে পয়েন্ট সিস্টেম চালু রয়েছে। ন্যূনতম ৬ পয়েন্ট অর্জন করলে কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

– যোগ্যতার সমতা: ৪ পয়েন্ট।
– সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন পেশা: ১ পয়েন্ট। যেমন: হেলথ সার্ভিস ম্যানেজার, কেমিস্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপার।
– পেশাগত অভিজ্ঞতা: ২-৩ পয়েন্ট।
– ভাষা দক্ষতা: ১-৪ পয়েন্ট। A2 লেভেলের জন্য ১ পয়েন্ট, B2 বা তার ওপরের স্তরের জন্য ৩ পয়েন্ট।
– বয়স: অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সের জন্য ২ পয়েন্ট, ৩৫ থেকে ৪০ বছরের জন্য ১ পয়েন্ট।
– জার্মানিতে বসবাসের রেকর্ড: ১ পয়েন্ট।
– স্বামী বা স্ত্রীর দক্ষতা: ১ পয়েন্ট।

এই পয়েন্টগুলো প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে নির্ধারণ করা হয়, যা অপরচুনিটি কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments