Thursday, November 7, 2024
Homeআমেরিকাআবারও মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যুদ্ধজাহাজ

আবারও মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যুদ্ধজাহাজ

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ চীন সাগরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যুদ্ধজাহাজ। মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের জলসীমায় প্রবেশ করলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একই দ্বীপপুঞ্জে ইউএসএস মিলিয়াস গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ারটি প্রবেশ করেছিল।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, চীন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের বিধিনিষেধকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘মুক্ত নৌ-চলাচল কার্যক্রমের’ অংশ হিসেবে ওই দ্বীপপুঞ্জের আশপাশে দেখা যায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজটিকে।

কোনো সামরিক জাহাজ এই দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করতে চাইলে এই তিন দেশকে আগেই অবহিত করতে হয় কিংবা অনুমতি নিতে হয়। তিনটি দেশই কৌশলগত এই জলপথ নিজেদের দাবি করে আসছে।

চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন তৎপরতা দেশটির সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছে। চীনের নৌ ও বিমানবাহিনী আমেরিকান যুদ্ধজাহাজকে ওই এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে। অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রকে ‘মারাত্মক পরিণতিরও’ হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।

এমন সময় সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক নতুন করে আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের মুখপাত্র লুকা বাকিক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে মাত্রাতিরিক্ত সমুদ্রসীমার দাবিকে চ্যালেঞ্জ করছে। এ ক্ষেত্রে দাবিদারের পরিচয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না।’

জবাবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার’ অভিযোগ এনেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তান কেফেই বলেছেন, ‘মার্কিন সামরিক বাহিনীর তৎপরতা চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে, আন্তর্জাতিক আইন চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। এটি দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ-চলাচল কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও সামরিকায়নে মার্কিন প্রচেষ্টার অকাট্য প্রমাণ।’

তান কেফেই বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে চীন ‘প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এই অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে, যা সেখান থেকে পিছু হটতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments